গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বরিশালের সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্যর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন বরিশালে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত আন্দোলনকারীরা ‘শাটডাউন’ করুক, কোনো বৈঠক হবে না: অর্থ উপদেষ্টা ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ৫ আগস্ট, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয় গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন চলছে, রাজস্ব আদায় ব্যাহত গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি

আবদুল আউয়াল ঠাকুর
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ১২ সময় দর্শন

প্রবীণ আইনজীবী মহসিন রশিদ পতিত সরকারের শেষদিকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার কারণে রোষে পড়েছিলেন। তাকে আদালতের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি এক মন্তব্যে তিনি বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সংজ্ঞায়িত করার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটি গভীরভাবে বিতর্কিত। কারণ, এটি আন্দোলনের সামনের সারিতে সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এ মন্তব্যের শেষভাগে তিনি ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ থেকে আমাদের জাতির মুক্তির জন্য যারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, তাদের ত্যাগ ও অবদানকে সত্যিকার অর্থে প্রতিফলিত করে স্বীকৃতিদানের আহ্বান জানান। তিনি যে সূত্র ধরেই আহ্বান জানান না কেন, আন্দোলনের ত্যাগীদের সুনির্দিষ্টকরণ বিষয়টি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্জনের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্যতই এটি সুনির্দিষ্টকরণ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কথাটা আরও বেশি গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে যখন দেখা যাচ্ছে, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকে কোনো কোনো দল তাদের আঁতে ঘায়ের কারণ হিসাবে বিবেচনা করছে এবং সেইসঙ্গে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংগত কারণেই বিবেচনায় এসেছে, তাহলে তারা কোন পক্ষভুক্ত। তাদের এ বক্তব্যে প্রকারান্তরে খালেদা জিয়াকেও রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গের অবতারণা এ কারণে যে, বাংলাদেশে আজ যে গণতন্ত্রের আবহ বিরাজ করছে, যতটুকু নিঃশ্বাস নেওয়ার বাতায়ন তৈরি হয়েছে, এটি মূলত আপসহীন নেত্রী গণতন্ত্রের লৌহমানবী খালেদা জিয়ার জন্যই হয়েছে। বোধকরি তিনি একমাত্র উদাহরণ, যিনি ব্যক্তিগত জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে পায়ে দলে, দেশকে আধিপত্যবাদের নিগড় থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জীবনপণ বাজি রেখেছিলেন। তার এ লড়াইকে কোনো বিবেচনায়ই ব্যক্তিগত বিষয় মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং তিনি সেদিন হাল না ধরলে জাতি যে গভীর খাদে নিপতিত হচ্ছিল, তা থেকে উদ্ধারের কোনো পথই খোলা হতো না। শুধু দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষার ‘অপরাধে’ই তাকে মৃত্যুর মুখে নিপতিত হতে হয়েছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসীম রহমত ও জনগণের দোয়ায় তিনি এখনো আমাদের মধ্যে বেঁচে আছেন এবং জাতির সংকটে পথ দেখানোর চেষ্টা করছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দখলের যে দৃশ্যমান লড়াই শুরু হয়েছে, তার বিপরীতে জাতিকে আলোর পথে নিতে সংঘাত এড়াতে তিনিই প্রধান উপদেষ্টাকে হয়তো লন্ডন সফরের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেছিলেন। এতে কী ক্ষতি হয়েছে এবং কীভাবে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হলো? এ ধরনের বক্তব্য অনেকটাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ। গত সাড়ে ১৫ বছরের কথা যদি ধরা যায়, তাহলে তার শুরুটা ১/১১ হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচন দিয়ে যাত্রা। কীভাবে কেমন করে ১/১১ হয়েছিল সে কথা নতুন করে তুলে লাভ নেই। একথা বলা যায়, ১/১১-এর মাধ্যমে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে যে অপতৎপরতা চালানো হয়েছিল তার প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। গত সাড়ে ১৫ বছরের গুম, হত্যা তদন্তে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে তার বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে। দু-একটি বিবরণ আওয়ামী আমলেও প্রকাশিত হয়েছে। তখন গুম থেকে ফিরে আসারা মুখ খোলেননি। অবশ্য, চলমান বিবরণীতে ১/১১-এর খলনায়কদের এবং সে সময়ে যারা তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের নামের কোনো তালিকা নেই। যারা গুম থেকে তখন ফিরে এসেছে কেন তারা মুখ খোলেননি সেটি স্পষ্ট নয়। তবে বোঝা যায়, হয়তো কোনো ফর্মুলায় তারা বের হয়েছেন। তাই মিশে গেছেন জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য। এখনকার বিবরণীতে দেখা যায়, অনেকেই সরকারের উচ্চপর্যায়ের গুম হত্যা সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়নি। সে বিষয়টি অনুগত পা-চাটারা আবার সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকেও জানিয়েছে। এটি এক জঘন্য অপরাধ। যারা তখন গুম, হত্যা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা প্রায় সবাই রাজনীতিক। কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। এ আলোচনার একটি বড় অংশ তারেক রহমান। আজ আয়নাঘরের আলোচনা সর্বত্র উঠেছে। সাবেক ব্রিগেডিয়ার আজমী, ব্যারিস্টার আরমান, কূটনীতিক মারুফসহ আরও অনেকের নাম আলোচিত হচ্ছে। অথচ কেউ বলছেন না, এ ক্যাম্পের প্রথম শিকার হয়েছিলেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তা এতটাই বিভীষিকাময় যে, তার কোনো নজির পাওয়া ভার। নির্মম এ নির্যাতনের কথা বাদ দিয়ে গুম, হত্যার আলোচনা পূর্ণতা পেতে পারে না। পাওয়া সম্ভব নয়। কেন এটি আলোচনায় আনা হচ্ছে না সেটি বোঝাও দুর্বোধ্য। তাকে কথিত যেসব অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তার কোনোটিই প্রমাণিত হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদেরও কোনো আইনি স্বীকৃতি ছিল না। অথচ জিজ্ঞাসাবাদ করারও একটি বিধি ব্যবস্থা আইনে রয়েছে। কিন্তু, আলোচ্য ক্ষেত্রে প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করা ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। এমনকি একটি মামলায় তাকে নির্দোষ বলে সকালে রায় দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জজ সাহেবকে জীবন রক্ষার্থে বিকালেই দেশত্যাগ করতে হয়েছিল। এটি আওয়ামী আমলের কথা। আর যদি ১/১১-এর সময়কার কথা স্মরণ করা যায় তাহলে ইতিহাসের সেই নির্মম নির্যাতনের কথা, যার উদাহরণ শুধু বাংলাদেশেই পাওয়া যাবে। শুধু রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের সফল জননন্দিত প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়ার পুত্রকে এযাবৎকালের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এ গুরুতর অবিচারের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এরপর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছে, তারা তো তাকে জীবিত রাখতেই নারাজ ছিল। এ নিয়ে কোনো মামলাও দায়ের করা হয়নি। কোনো সরকারি নথিতে এর বিবরণ নেই। অথচ ঘটেছে। দেশবাসী জানে, জানে বিশ্ব। নির্মম নির্যাতনে তার কোমর ভেঙেছে। জনতার চাপে তখনকার পরিস্থিতিতে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে লন্ডন যেতে দিতে হয়েছিল। এটা সবাই জানে, নির্যাতনের পর দীর্ঘদিন তাকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় রাখায় তার সুস্থ হওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। সে বাস্তবতার মূল কারণ তিনি যাতে রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারেন। জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশাতেই এটা করা হয়েছিল। মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক উত্তরাধিকার নির্মূল করা।

তারেক রহমানের ছোট ভাই হলেন আরাফাত রহমান কোকো। পাঠকদের মনে থাকার কথা সেই দিনের বিবরণ, যেদিন তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বায়তুল মোকাররমে। তৎকালীন সরকারের নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল। গোটা দেশের মানুষ বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো জড়ো হয়েছিল জানাজায়। একটু শ্রদ্ধা জানানোর আকুতি থেকে সমবেত হওয়া জনতার ভিড়ে এক কদম এগোতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক পর জানাজা সম্পন্ন করতে হয়েছিল। আপামর জনতা অশ্রুশিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছিল। সবার মনেই প্রশ্ন ছিল, কেন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সন্তানকে এভাবে প্রাণ দিতে হলো? কেন এবং কোন অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? তার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগ তো প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। প্রমাণ পাওয়াও যায়নি। আসলে অপরাধ একটাই ছিল, তা হলো তারা প্রেসিডেন্ট জিয়া এবং খালেদা জিয়ার সন্তান। গণতন্ত্র লালনে তারা বদ্ধপরিকর ছিলেন। সে দিনের জানাজাও প্রমাণ করেছিল জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে কতটা গেঁথে আছে। ঠিক এমনটিই দেখা গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায়। লাখো জনতা সেদিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেছিল তাদের প্রাণপ্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাতে। এসব অনেক কথা।

আমলাতান্ত্রিকতার ব্যাভিচারের জারজ ১/১১ হচ্ছে গত ১৫ বছরে জনগণের ঘাড়ে চেপে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জনক। এটি ছিল অসাংবিধানিক সরকার। এ সরকারের পরিকল্পনাকারীরা জানত, প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার এলে তাদের বিচার হতে পারে। আর সেটি হতো সংবিধান লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগে। তারা এটিও জানত, প্রকৃত নির্বাচন হলে বিএনপিকে ঠেকানো সম্ভব নয়। এরাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাইনাস ফর্মূলার উদ্গতা। এ ফর্মূলার আওতায় আওয়ামী লীগপ্রধান দেশও ত্যাগ করেছিলেন। খালেদা জিয়া দৃঢ় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের কারামুক্তি হয়েছিল শুধু খালেদা জিয়ার অনড় মানসিকতার কারণে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গৃহীত নিধনযজ্ঞের দায়িত্ব আওয়ামীদের হাতে তুলে দিয়ে পরিকল্পনাকারীরা পালিয়েছিল। এদের পালিয়ে যাওয়া প্রথমদিকে জনগণ টের পায়নি। কাজটি হয়েছিল অনেকটাই গোপনে। এরা পালিয়ে গিয়েও শান্তিতে নেই। এদের অনেকেই কঠিন রোগাক্রান্ত। এটা কৃত পাপের ফল কিনা সেটি আল্লাহই ভালো জানেন। তাদের অপকর্ম ঢাকতেই ২০০৮ সালে কথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল জামায়াত। এটি ছিল দায়মুক্তি দেওয়ার আন-অফিশিয়াল নির্বাচন । যেহেতু ১/১১ সরকার ছিল আধিপত্যবাদের দোসর। সে কারণে তাদের মিত্র ছিল আওয়ামী লীগ। গুরুর মদদে তারা আওয়ামীদের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। তারা সায় দিয়েছে। গণতন্ত্র হত্যার কফিনে পেরেক লাগাতে তাদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। বাকশাল করে এসময় জাতির ঘাড়ে চেপে বসা সেই প্রেতাত্মাই আবার উঠে পড়ল ১/১১-এর পর। এ ১/১১ কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। এ নিয়ে এখনো কথাবার্তা হচ্ছে। সম্প্রতি দুজন মার্কিন কূটনীতিকও নানা আলোচনা করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছর জাতিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে জীবনঘাতী লড়াই করতে হয়েছে. তার শুরুটা ১/১১। সে কারণেই এ আলোচনা বাদ রেখে ফ্যাসিবাদ নির্মূলের আলোচনা সুনির্দিষ্টকরণ গুম কমিশন গঠন অর্থহীন। এ অপপ্রক্রিয়ার সঙ্গেহ অনেকেই যুক্ত ছিল।

১/১১-এর সময় করা মামলা সূত্র ধরেই খালেদা জিয়াকে আওয়ামী আমলে অন্যায়ভাবে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জননন্দিত প্রেসিডেন্ট জিয়াকেও হত্যা করা হয়েছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। যেখানে আওয়ামী পরিবারের যুবরাজদের ব্যাংক ডাকাতিসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় আটক করে জীবন বিপন্ন করা হয়েছিল। এসব ঘটনার রাষ্ট্রীয় নথি থাকা দরকার। কারা গণতন্ত্র হত্যার নীলনকশা তৈরি করেছিল, কারা তা বাস্তবায়ন করেছে, এর কোনো রাষ্ট্রীয় বিবরণ না থাকলে ভবিষ্যতের নাগরিকরা কিছুই জানতে পারবে না। এখনো অপকর্মকারীদের অনেকেই জীবিত। এদের জবানবন্দি নেওয়া জরুরি। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া এবং তার পরিবারকে নিয়ে যেসব চক্রান্ত হয়েছে হচ্ছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা না গেলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো বিবেচনাতেই সম্ভব নয়। এই একটিমাত্র পরিবার যারা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য-বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গুম কমিশনের মতোই জিয়া কমিশন গঠন করা অতীব জরুরি।

 

আবদুল আউয়াল ঠাকুর : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর