খুলনায় ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই পোলিং, এজেন্ট দিতে পারেনি সব ভোট কক্ষে খুলনায় ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই পোলিং, এজেন্ট দিতে পারেনি সব ভোট কক্ষে – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বরিশালের সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্যর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন বরিশালে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত আন্দোলনকারীরা ‘শাটডাউন’ করুক, কোনো বৈঠক হবে না: অর্থ উপদেষ্টা ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ৫ আগস্ট, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয় গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন চলছে, রাজস্ব আদায় ব্যাহত গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই পোলিং, এজেন্ট দিতে পারেনি সব ভোট কক্ষে

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৬০ সময় দর্শন

খুলনার ৬টি আসনে এবারের নির্বাচনে ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি সব ভোট কক্ষ বা বুথে। তবে সব ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট রয়েছে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের ৩ জনের। অন্যরা অল্প কিছু সংখ্যক ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন।

সকাল ৯টায় খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়া সদর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রে ৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। এখানে সবগুলো ভোট কক্ষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও স্বতন্ত্র শেখ আকরাম হোসেনের পোলিং এজেন্ট রয়েছে। অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।

খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে মোট ৮টি। এর মধ্যে সবগুলো ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট রয়েছে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং স্বতন্ত্র এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা’র । ৮টি ভোট কক্ষের মধ্যে ৪টিতে পোলিং এজেন্ট রয়েছে বিএনএম’র এস এম আজমল হোসেনের। স্বতন্ত্র এম ডি এহসানুল হক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, স্বতন্ত্র মো. জুয়েল রানা, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ, এনপিপি’র মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র মো. রেজভী আলম, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপি’র শেখ হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র এইচ এম রওশান জামিরের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই।

সকালে খুলনা-১ আসনের দাকোপ উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট কক্ষ রয়েছে ৭টি। সবগুলো ভোট কক্ষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ননীগোপাল মণ্ডল এবং ৫টি ভোট কক্ষে স্বতন্ত্র প্রশান্ত কুমার রায়ের পোলিং এজেন্ট রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ ও তৃণমূল বিএনপি’র গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই।

খুলনা-১ আসনের ১১০টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে ৬৭০টি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ননী গোপাল মণ্ডল সব ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রশান্ত কুমার রায়, জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশীদ ও তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক সব ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি।

খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে ৮৪৫টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। তবে সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবু কুমার রায়, বিএনএম’র মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম, গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমান ও স্বতন্ত্র মো. সাঈদুর  রহমান।

খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৬৩৩টি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন সব ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। তবে সব ভোট কক্ষে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও স্বতন্ত্র ফাতেমা জামান সাথী।

খুলনা-৪ আসনের ১৩৩টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৮০৫টি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। বাকি ১০ জন প্রার্থী সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি। তারা হলেন স্বতন্ত্র এম ডি এহসানুল হক, বিএনএম’র এস এম আজমল হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, স্বতন্ত্র মো. জুয়েল রানা, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ, এনপিপি’র মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র মো. রেজভী আলম, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র এইচ এম রওশান জামির।

খুলনা-৫ আসনের ১৩৫টি ভোট কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৮৪৫টি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের শেখ আকরাম হোসেন সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। তবে সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির মো. শাহীদ আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল।

খুলনা-৬ আসনের ১৪২টি ভোট কেন্দ্রে কক্ষ রয়েছে ৯২২টি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান মোড়ল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জি এম মাহবুবুল আলম সব বুথেই পোলিং এজেন্ট দিয়েছেন। তবে সব বুথে পোলিং এজেন্ট দেননি বিএনএম’র এস এম নেওয়াজ মোরশেদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মির্জা গোলাম আজম, এনপিপি’র মো. আবু সুফিয়ান, তৃণমূল বিএনপির মো. নাদির উদ্দিন খান ও জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু।

এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজ এর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, পোলিং এজেন্টের সংখ্যা দেখেই প্রার্থীদের সামর্থ্য ও ভোটের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে তা ধারণা করা যায়। খুলনায় যেসব দল নির্বাচন করছে তার বেশিরভাগই অপরিচিত এবং প্রার্থীরাও অপরিচিত মুখ। পোলিং এজেন্ট দিতে যে কর্মী-সমর্থক ও অর্থের প্রয়োজন তা তাদের অনেকেরই নেই।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, এবার ভোটের মাঠে বেশিরভাগ প্রার্থীই নতুন মুখ এবং অপরিচিত। সব বুথে পোলিং এজেন্ট দেওয়ার মতো সক্ষমতা তাদের নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর