সময় যত যাচ্ছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা ততই উজ্জল হচ্ছে। এর মধ্যেই এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যে ভ্যাকসিন প্রথম বাজারে আসবে সেটাই সংগ্রহ করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
যেসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদনে এগিয়ে আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে ভ্যাকসিন আগে বাজারজাত করা হবে সেটাই আমরা সংগ্রহ করবো। আশা করি, সময়মতো তা পেয়ে যাবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কখন শুরু হবে তা এখনো জানি না। তবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তাছাড়া বাংলাদেশ সব সময় কোনো না কোনো দুর্যোগের ঢেউয়ের মধ্যে অবস্থান করে। তাই এবারও তা ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশা করছি।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পুরো বিশ্বকেই গ্রাস করে ফেলেছে। দেশেও গত ৭ মাস ধরে এটির প্রকোপ চলছে। কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। অন্যদিকে, আহ্বান জানানোর পরও কেউ আর এখন করোনা টেস্ট করতে আসে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও প্রথমদিকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই ছিল না। তবে এখন সেটির অভাব নেই। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে পিপিই রপ্তানি করছি।
করোনার সময় সারাদেশে লকডাউন জারি থাকলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোনো লকডাউন ছিল না জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাসহ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন।
Leave a Reply