বরিশাল: ‘কঠোর লকডাউনের’ শেষ দিনে এসে জরুরি ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনের পাশাপাশি মাহিন্দ্রাসহ সব ধরনের থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। সেসঙ্গে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও বেড়েছে।নগর ও জেলার প্রধান প্রধান সড়কের বিশেষ বিশেষ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোষ্ট থাকলেও, কার্যক্রমে ছিলো ঢিলেঢালাভাব।
বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরের দিকে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস সংলগ্ন সড়কে ঢাকামুখী মানুষের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। সেখান থেকে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সিএনজিতে মাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীদের রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।অনেককেই কাধে ব্যাগ নিয়ে সড়কের পাশে দাড়িয়ে ঢাকামুখী পিকআপ, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানকে সিগন্যাল দিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো চালক গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আবার কেউ সজোরে চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেলিম নামে একজন যাত্রী জানান, কর্মস্থল বন্ধ থাকায় কঠোর লকডাউনের শুরুতে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু এখন জরুরি প্রয়োজনে আবার ঢাকায় যেতে হচ্ছে। তাই বাসা থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে এসেছেন। এখান থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। একজন মিনি পিকআপ চালকের সঙ্গে কথা হয়েছিলো তিনি ১২শ টাকা চেয়েছেন। আর একজন মোটরসাইকেলচালক চাইলেন দেড় হাজার। এখন একজন সিএনজিচালক চাইছেন ৭শ টাকা। তবে তিনি আরো ৩ জন যাত্রী হলে যাবেন।
এদিকে আছিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বানারিপাড়া টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে মাহিন্দ্রায় গড়িয়ারপার পর্যন্ত কোনো বাধা ছাড়াই এসেছেন। কিন্তু এরপর পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় পায়ে হেঁটে খানিকপথ এসে আবার অটোরিকশায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত এসেছেন। আবার অনেকেই নগরের অভ্যন্তরীণ সড়ক হয়ে শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে থ্রি-হুইলারে চেপে যাচ্ছেন। এদিন সকালেও বরিশাল নগরে জেলা প্রশাসনের তিনটি মোবাইল কোর্ট লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান চালিয়েছে।
Leave a Reply