স্টাফ রিপোর্টার ।। আসন্ন ১১ নভেম্বর বরিশাল সদর উপজেলার ২য় পর্যায়ের ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন১ নম্বর রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর শাহরিয়ার বাবু। শাহরিয়ার বাবুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী শাহরিয়ার বাবু বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার বটতলা টু ঝালকাঠি পর্যন্ত (ম্যাক্সি)তিন চাকার যানবাহন এর একটি অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরি করে প্রতিদিন টাকা আদায় করিয়ে থাকেন। সরেজমিনে বটতলা ম্যাক্সি স্ট্যান্ডে গেলে চাদা আদায়কারী ব্যক্তিরা দাবী করেন লাইন ও স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রক সৈয়দ হাতেস আলী কলেজের সাবেক জিএস আহম্মদ শাহরিয়ার বাবু। সেখান থেকে প্রতিদিন ১৮-২২ টি যানবাহন থেকে চাদা আদায়ের পরিমাণ রোজ কয়েক হাজার টাকা । তথ্য অনুযায়ী সেখান থেকে শাহরিয়ার বাবুর বছরে আয় হয় লক্ষাধিক টাকা।
এছাড়াও এই চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহরিয়ার বাবু বরিশাল জেলা মাহেন্দ্রা-আলফা,সিএনজি থ্রি হুইলার মালিক সমিতির (রেজিঃ ১২২৮)এবং বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। এই সব সংগঠন থেকে প্রাপ্ত ‘ভাতা’ বা আয়ের পরিমাণ মাসিক বা বার্ষিক আয়ের বিবরণীতেও জমা দেননি তিনি। তারমানে এখানেও নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তিনি।
আবার, ইউনিয়ন নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ফরমে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিত থাকার আইন রয়েছে। অন্যথায় তা আচরণবিধি লঙ্ঘিত বলে বিবেচিত হলেও বাবুর ক্ষেত্রে নিরব নির্বাচন কমিশন। এই প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের ফরম ‘খ’ দ্বিতীয় ভাগ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, শুধুমাত্র ‘ সাগর অফসেট প্রেস কালিবাড়ি রোড থেকে ১০ হাজার হ্যান্ডবিল ছাপানোর কথা ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে, পোষ্টার ১০ হাজার টি ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ( কোন ঠিকানা উল্লেখ নাই, যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ ও তথ্য গোপন ), ব্যানার ৯ টি ৪৫০০ টাকা,যানবাহন খরচ মাইকিং ৩৫ হাজার, পথসভার খরচ ৯ হাজার টাকা।
অথচ, এসব হিসেবের মধ্যে কোথাও কোনখানে বরিশাল জেলা আলফা, মাহিন্দ্রা, থ্রি হুইলার মালিক সমিতির নামে কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার( প্রার্থীর) নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয়ের কথা উল্লেখ নেই। অথচ, বিভিন্ন যানবাহনে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে লিফলেট, স্টিকার প্রচারিত হচ্ছে। সকল ধরণের প্রচারণা চলছে। ফলে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া ব্যয়ের হিসেবের কয়েকগুন বেশী ব্যয় করছেন এই প্রার্থী।
প্রশ্ন হল, তাহলে এই
বরিশাল জেলা আলফা, মাহিন্দ্রা, থ্রি হুইলার মালিক সমিতির নামে কোন সংগঠনের ব্যয়ের হিসেব নির্বাচন কমিশনে নেই কেন এবং প্রার্থীর মূল আয়ের সাথে এসব সংগঠনের আয় যোগ করা হয়েছিল কি না?
উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনার দুই মামলার আসামি তিনি। গ্রেপ্তারের পর বেশ কিছুদিন কারাগারে থেকে এখন জামিনে মুক্ত।বাবুর হাতে ‘নৌকা’ তুলে দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন১ নম্বর রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর শাহরিয়ার বাবুকে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার অযুহাতে ফোন কেটে দেন।
Leave a Reply