স্টাফ রিপোর্টার ।। আহমেদ শাহরিয়ার বাবু বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে ১৮ আগষ্ট হামলার ঘটনার দুই মামলার আসামি তিনি। গ্রেপ্তারের পর বেশ কিছুদিন কারাগারে থেকে এখন জামিনে মুক্ত। এই শাহরিয়ার বাবুই পেয়েছেন একই সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের নৌকার টিকেট। তিনি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বরিশাল সদরের রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে। আগামী ১১ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় না থাকলেও বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে হঠাৎ ‘নৌকা’ তুলে দেওয়া ও যানবাহনে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।”
রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী শাহরিয়ার বাবু জানান, ইউএনওর বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার দুটি মামলার আসামি তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, ‘ইউএনওর বাসায় হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার দুটি মামলার আসামি শাহরিয়ার বাবু। তবে মামলা দুটির কোনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ইউএনও মুনিবু্র রহমান অভিযোগ করেছিলেন ” উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তাদের সকালে আসতে বলা হয়। এ কারণে তাঁরা আমাকে গালিগালাজ করে। আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।। তারা আমাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আনসার সদস্যরা আমার প্রাণ বাঁচান। এরপর কয়েকশ লোক এসে কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। তারা গেট ভেঙে ফেলাসহ অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। ” পরবর্তীতে এ হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টায় দুটি মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় তখন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আবু বকর ও শরিফুল নামের দুই পুলিশ সদস্য। আরও আহত হয়েছেন ইউএনওর সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্য ফারুক হোসেন ও নাসির উদ্দিন নামে আরেকজন।
এ বিষয়ে মামলা দুটির আসামী হবার কথা স্বীকার করলেও অন্য কোন প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি আহম্মদ শাহরিয়ার বাবু।
Leave a Reply