পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জিতে পরাজিত প্রতিপক্ষের কর্মী ও সমর্থকের ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আসবাবপত্রে আগুন দেয়ার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মোসাঃ সেতারা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে ২৭ জনকে বিবাদী করে মামলা করলে বিজয়ী চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী বটকাজল গ্রামের মোঃ মঞ্জু খান (৫৩), নওমালা গ্রামের মোঃ করিম হাওলাদার (৩৬),বটকাজল গ্রামের মোঃ ইউনুচ মৃধা (৩৫) ও নিজ বটকাজল গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম (১৯) কে রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে বাউফল থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বাউফল উপজেলার নওমালা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাস বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদার পরাজিত হন।
গতকাল রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা পরাজিত প্রার্থীর কর্মী মো. বেল্লাল হোসেনের (২৮) নগরেরহাট এলাকার ঘরে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ, শোয়ার খাটসহ বিপুল পরিমাণ আসবাব ভাঙচুর করেন। এরপর সেগুলো এক জায়গায় স্তূপ করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় পরাজিত প্রাথী মোঃ শাহজাদা হাওলাদারের কর্মী মোঃ বেল্লাল হোসেনের মা মোসাঃ সেতারা বেগম ২৭ জনকে বিবাদী করে বাউফল থানায় অপরাধ বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আইন ৪ ও ৫ ধারায় মামলা করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আল মামুন বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply