আনোয়ার হোসেন ।। বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ কবির মিয়ার গাফিলতিতে অ্যাপেনডিক্স রোগীদের অপারেশন ১৫ দিনেও হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অ্যাপেনডিক্স রোগীদের বারবার ওটি থেকে ফেরত দেওয়ার অভিযোগও আছে ডাক্তার মোঃ কবির মিয়ার বিরুদ্ধে। সার্জারী বিভাগের ডাক্তার মোঃ কবির মিয়ার গাফিলতিতে অ্যাপেনডিক্স রোগীদের ভোগান্তি যেনও বেড়েই চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, ডাক্তার কবির মিয়ার গাফিলতির কারনে দীর্ঘদিন রোগী ভর্তি হয়ে থাকার পরে, অনেক রোগী সরকারী জেনারেল সদর হাসপাতালের সেবা না পেয়ে চলে যাচ্ছে। আরো জানাযায়, সার্জারী বিভাগের ডাক্তার কবির মিয়া অফিসে আসেন ১০ টায়, তার অফিস কক্ষে মেলে ডজন খানে সুন্দারী নার্সদের আড্ডা।
এমনকি ডাক্তারের উপস্থিতিতে নার্সদের পায়ের উপর পা রেখে ফেইস বুক নিয়ে ব্যাস্থ থাকার দৃশ্য দেখা যায় প্রায় সময়।
ভর্তি হয়ে ফেরত যাওয়া রোগী সালাম বলেন, আমি অ্যাপেনডিক্সের রোগী, ১৫ দিন হয়েছে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু কবে যে আমার অপারেশন হবে কি হবে না তাও জানিনা, এমন চিন্তা ভাবতে না ভাবতে অপরেশনের তারিখ পরে মণটা একটু খুশি হয়। কিন্তু ওটিতে নিয়ে জরুরী মিটিং আছে বলে আমাকে ফেলে চলে যায় কশাই ডাক্তার মোঃ কবির। পরে আমি প্রাইভোট হাসপাতালে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করাই। তিনি বলেন, আসলে সরকারী হাসপাতালে ওরা ডাক্তার না ওরা কশাই।
একই অভিযোগ তুলেন, বারবার ওটি থেকে ফেরত দেওয়া চট্রগ্রাম থেকে আসা রোগী শাহীন। তিনি বলেন, আমার শরীরে চট্রগ্রাম থাকাকালীন ব্যথা অনুভব হলে সেখানে পরিক্ষা করাই রির্পোটে অ্যাপেনডিক্স ধরা পরে। বরিশাল বেড়াতে আসলে আবার ব্যথা অনুভব হয় আমি আমার মামাকে জানাই, সে বলে সরকারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হও সেখানে ভালো অপারেশন হয়। কিন্তু ভর্তি হওয়ার ৫দিনের মাথায় আমার অপারেশনের তারিখ পরে আমার পাশে থাকা রোগীরা বলে আপনার কপাল ভালো এতো তারাতারি অপারেশনের ডেট পরেছে, আমি বলেছি আমার মামার পরিচিত লোক আছে বিধায় হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনে ওটিতে নিয়ে ডাক্তারের জরুরী মিটিং আছে বলে ফেরত দিয়েছেন। পরে ডেট পরিলো ত দিন পরে সেই দিন ওটিতে নিয়ে আরও ৩টি পরিক্ষা করাতে বলেন। করার পরে আবার ডেট পরে তিন দিন পরে, সেই দিন বলে আমি একা এতো অপারেশন করতে পারবো না, তার চেয়ে আপনি বড় হাসপাতাল শেরে-ই বাংলা সেখানে চলে যান। এটা কি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ হতে পারে এনিয়ে চিন্তিত দুর থেকে সাবধান রোগীরা।
Leave a Reply