অর্থ ও মানবপাচারে অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্টদূত এসএম আবুল কালামের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে মামলা হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে বলছে, ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, এই স্ক্যান্ডাল শুধু একজন এমপির নৈতিক স্খলনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। মনে করা হচ্ছে, কুয়েতে নিযুক্ত ঢাকার রাষ্ট্রদূতও অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে বলা হয়, জুন মাসে এমপি শহীদুল ইসলাম পাপুল গ্রেফতার হওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামকে সতর্ক করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি মোমেন বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কুয়েত অভিযোগ দায়ের করলে বাংলাদেশও তাকে কোনো ছাড় দেবে না। মোমেন বলেছেন, অর্থ ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। যে দলই করুক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। রাষ্ট্রদূত কালামের নিয়োগের মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে, যার মানে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে মোমেন বলেন, কুয়েতে আমরা আমাদের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত চূড়ান্ত করে ফেলেছি। এর আগে ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বাংলাদেশি সংসদ সদস্য মো. শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে। কুয়েতের কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে অর্থ, মানবপাচার ও নিজ দেশের কর্মীদের শোষণ করার অভিযোগ তোলে। তবে কুয়েতি সংবাদ মাধ্যমগুলো পাপুলের বিরুদ্ধে ভিসা বাণিজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলে। পাপুলের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার বা বাংলাদেশি টাকায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এরপর ২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে বাংলাদেশি এই এমপিকে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply