প্রবল বর্ষণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পাকা সড়ক ভেঙে দ্বি-খণ্ডিত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পেঁচিবাড়ি-চাঁনদিয়াড় সড়কের প্রায় ৫ মিটার অংশ ভেঙে পাশের খালে বিলীন হয়েছে।
ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার কমপক্ষে অর্ধশত গ্রামের মানুষ।
জানা যায়, ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১১ সালে সড়কটি পাকা করা হয়। পরবর্তীতে একবার মেরামত করা হয়েছে এই সড়কটি। সড়কটি নির্মাণে সব মিলে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। সড়কটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত পাকা সড়কের গা ঘেঁষে একটি খাল এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খালটির পুনঃখননের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাঙ্গালী নদী থেকে এই খাল দিয়ে এক সময় পানি প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু আশির দশকে খালের উৎসমুখ পেঁচিবাড়ি এলাকার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেটি এখন পাকা সড়কে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবহন চলাচল করে।
এদিকে খালের উৎসমুখ বন্ধ করায় দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গালী নদী থেকে খালের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারছে না। এছাড়া খালের পানিতে নেই কোনো স্রোত। তারপরও সাড়ে চার কিলোমিটার পাকা সড়কের শতাধিক এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পেঁচিবাড়ি গ্রামের ভেতর সড়কের ৫ মিটার অংশ ভেঙে খালে বিলীন হয়েছে। ফলে ওই সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় এ সড়কটির পাশের খালটি মরা খালে পরিণত হয়। এই খাল মানুষের কোনো কাজে আসেনি। এই খালটি অপরিকল্পিতভাবে পুনঃখনন করা হয়। অনেক জায়গায় খাঁড়াভাবে খাল খনন করায় ধসে পড়ছে পাড়ের মাটি। ভাঙনের মুখে পড়েছে খালের পাড়ের বসতি। একপর্যায়ে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সড়ক ভেঙে দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫ মিটার অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, এই খালটি পুনঃখননের আগে পাকা সড়কটি টিকে ছিল। কিন্তু খালটি খননের পর পাকা সড়ক ধসে খালে পড়ছে। প্রবল বর্ষণে সড়ক ভেঙে দ্বি-খণ্ডিত হওয়া স্থানটি জরুরিভাবে মেরামত করা হবে।
Leave a Reply