চলে গেলেন গনশিল্পী ফকির আলমগীর চলে গেলেন গনশিল্পী ফকির আলমগীর – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াত যেন ফিফটি ফিফটি ভোট পায় : আ.লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল ভবিষ্যৎ রাজার ছেলের বিরুদ্ধে ৩ ধর্ষণসহ ২৩ অভিযোগ ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা তদন্তের প্রতিবেদন ঘিরে বেরোবিতে আন্দোলন, ক্ষুব্ধ আবু সাঈদের পরিবার ‘বেঁচে থাকলে জিয়ার দলের সঙ্গে হাসিনার লোকজনের দূরত্ব ঘুচিয়ে দেব’ মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগ : চাঞ্চল্যকর যে তথ্য পাওয়া গেল মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত ক্ষমা চাইলেন এনসিপির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী খামেনিকে লজ্জাজনক মৃত্যু থেকে বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিল না: ট্রাম্প

চলে গেলেন গনশিল্পী ফকির আলমগীর

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
  • ১১৭ সময় দর্শন

অনলাইন ডেস্কঃঃ অতিমারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীরের হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। মৃত্যুর তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।

ফকির আলমগীরের ছেলে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর বাবার জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো করোনা পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। সেদিনই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাঁকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাঁকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে।

ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে, যার কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পর থেকে ফকির আলমগীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০-এ উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়।রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসছে। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাতে আবারও অবস্থার অবনতি হয়, শেষ পর্যন্ত হেরে যান গণসংগীতের এই কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী।

ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে এবং ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুথান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তাঁর গান দিয়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর