স্টাফ রিপোর্টার ।। আসন্ন বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এবার নির্বাচনী প্রার্থীতা করছেন কথিত যুবলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার, বরিশাল সদর এর সেই সঞ্জিব সিংহ। এই সেই ভূইফোর কথিত যুবলীগ নেতা যিনি কখনও আধা সামরিক বাহিনীর আনসার। আবার একইসাথে আঞ্চলিক পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকাতে চাকুরীর আইন ও আচরণবিধি ভঙ্গ করে যুবলীগ নেতা হিসেবে চালিয়েছে মিথ্যা অপপ্রচার। কয়েকটি প্রচারণায় নিজেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একাধিকবার পুরস্কারপ্রাপ্ত বলে জাহির করতে দেখা গিয়েছে সঞ্জিবকে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন ‘ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র এর সাথে সুসম্পর্ক বলে প্রচার করেন সঞ্জিব। তিনি নাকি সিটি কর্পোরেশন এর আনসারদের ডিউটি নিয়ন্ত্রক। এছাড়াও কোন ধরণের কর্মীও না হয়ে চালিয়েছেন যুবলীগ নেতা বলে অপপ্রচার।
অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া সঞ্জিব এবার হতে চান জনপ্রতিনিধি।
সঞ্জিব সিংহ এর প্রতি প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতৃক সাহসী পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন উপায়ে সেই ছবি,পদ ব্যবহার করে নিজ অফিসে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কোন রাজনৈতিক পদে না থেকেও বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রত্র পত্রিকায় যুবলীগ নেতার তকমা লাগিয়েছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর বিভিন্ন আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ডিউটি ভাগের অযুহাতে ও কিছু লোকদের সুবিধা দিয়ে কামিয়েছেন বছরে লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে কাজে লাগিয়ে সাইনবোর্ড হিসেবে জমিজমার রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। আপনার মতে, আধা সামরিক কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চাকুরীরত কোন ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, প্রচারণা কতটুকু আইন সংগত ও আচরণবিধি সম্মত? এবং দুর্নীতির অভিযোগে াপনাকে চাকুরীচ্যুৎ করার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
উত্তরে সঞ্জীব সিংহ নিজেকে একটি পত্রিকার বড় পদধারী মালিক পক্ষ দাবী করে বলেন ‘ আমি চাকুরী ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেছি এখন। আর আমার চাকুরী সেচ্ছায় ছেড়েছি। আমি অসীম সাহসীকতার জন্য বারবার পুরস্কৃত হয়েছি। বাকি অভিযোগগুলো মিথ্যা।
আনসার থেকে নেতা হতে চাওয়া সঞ্জিবের সম্পদের পরিমাপ ও আয়ের উৎস সমন্ধে দৃষ্টি সজাগ রাখতে অনুরোধ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে, ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
Leave a Reply