নিজস্ব প্রতিবেদক::বরগুনার পাথরঘাটায় একই সময়ে দুই গ্রুপের মানববন্ধনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে পুলিশি লাঠিপেটায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটার চরদুয়ানি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েলসহ গাববাড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জমিদখলের অভিযোগের প্রতিবাদে পৌরশহরের শেখ রাসেল চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করায় পুলিশ মানববন্ধনকারীরা ছত্রভঙ্গ করে। পরে তারা প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ শুরু করলে এতেও পুলিশ বাঁধা দেয়। একই সময়ে চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সড়কে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে একই এলাকার আরও একদল বাসিন্দা। এ সময় উভয় গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিপেটায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৬ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, তুলি বেগম (৩০), মিরাজ মাতুব্বর (২৬), মুছা মিয়া (২২), তারা মিয়া (৩৫), ফিরোজ হোসেন (৩২) এবং রফিকুল ইসলাম (৩০) আহত হন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হোসাইন বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েল মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করায় এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার সময় জুয়েল সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।’
বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘এনামুল হোসাইন এলাকায় জমি জবরদখল করতে গিয়ে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এর প্রতিবাদে আমার ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করতে আসলে এনামুল লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে, যাদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, ‘সকলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। স্মারকলিপি পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, প্রশাসনকে অবহিত না করে উভয়পক্ষ মানববন্ধন করতে চাইলে আমরা তাদের বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। এ সময় আমরা লাঠিপেটা করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’
Leave a Reply