নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নিষেধাজ্ঞা না মেনে ঈদযাত্রায় লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে করে লঞ্চ ও নদীবন্দরে সৃষ্টি হচ্ছে বাড়তি বিড়ম্বনা। চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে বরিশাল নদীবন্দরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন- নির্দেশনা মোতাবেক ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে লঞ্চে মোটরসাইকেল তোলার অনুমতি নেই। কেউ বহন করছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য- ১৮ এপ্রিল লঞ্চ মালিক ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ঈদের আগের ৫ দিন ও ঈদের পরের ৫ দিন মোট ১০ দিন লঞ্চে কোনোভাবেই মোটরসাইকেল বহন করা যাবে না। এ সংক্রান্ত লঞ্চ মালিকদের নির্দেশনাও দেয় বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু স্পেশাল সার্ভিস শুরুর দিনেই সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করল লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এমভি মানামী লঞ্চের যাত্রী মনির হোসেন জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকেই অনায়াসে লঞ্চে করে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছে যাত্রীরা। এমনিতেই আমরা গাদাগাদি করে, দাঁড়িয়ে থেকে এসেছি। তার ওপরে লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন করায় আরও কষ্ট হয়েছে। লঞ্চ থেকে নামতে গেলেও মোটরসাইকেলের নামানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আরেক যাত্রী তামান্না আক্তার বলেন, মানামী লঞ্চে দুটি মোটরসাইকেল ছিল। এছাড়া অন্য লঞ্চগুলোতেও মোটরসাইকেল বহন করেছে। মানুষ যেখানে পা ফেলার জায়গা পায় না সেখানে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অধিক টাকার লোভে লঞ্চে মোটরসাইকেল তুলছেন। তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ শুধু মুখে বলে এটা করবে ওটা করবে। কিন্তু বাস্তবে তারা তেমন কিছুই করতে পারে না।
শুক্রবার ভোরের দিকে স্পেশাল সার্ভিসের সরাসরি লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করে। এছাড়া ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর রুটের ভায়া লঞ্চ রাত ১টা থেকেই বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করেছে। অধিকাংশ লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন করতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেল পরিবহনের বিষয়ে এমভি মানামী লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় লঞ্চে কোনোভাবেই মোটরসাইকেল পরিবহনের অনুমতি নেই। যেসব লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন করছে তারা কীভাবে ও কেন করল তা ভালোভাবে বলতে পারবে সদরঘাট নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ঈদের পরে ফিরতি পথে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো নৌযানকে মোটরসাইকেল পরিবহন করতে দেওয়া হবে না।’
Leave a Reply