পটুয়াখালীতে ঘুষ দিয়ে নিতে হয় মানবিক সহায়তার চাল, ভিডিও ভাইরাল পটুয়াখালীতে ঘুষ দিয়ে নিতে হয় মানবিক সহায়তার চাল, ভিডিও ভাইরাল – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীতে ঘুষ দিয়ে নিতে হয় মানবিক সহায়তার চাল, ভিডিও ভাইরাল

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ২৩ সময় দর্শন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নে সরকারি মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের সময় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুই মাসের জন্য প্রত্যেক জেলের নামে বরাদ্দ হওয়া ৮০ কেজি চাল বিতরণের সময় উদ্যোক্তা মামুন থেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুইশ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ওই চাল বিতরণ করা হয়। পরদিন শুক্রবার জেলেদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্যোক্তা জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের নামের স্লিপ হাতে দিচ্ছেন, যা প্রকাশ্য ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়- ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মামুন চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে আছেন এবং চারপাশে জেলেরা ভিড় করে রয়েছেন। টেবিলের ওপর জেলেদের নামের স্লিপ রাখা। প্রত্যেক জেলে তার নামের স্লিপ নিয়ে দুইশ টাকা জমা দিচ্ছেন, যা মামুন তার ব্যাগে রাখছেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ধুলিয়া ইউনিয়নবাসী এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী- ওই ইউনিয়নের এক হাজার নিবন্ধিত জেলেকে দুই মাসের জন্য প্রত্যেককে ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার চাল বিতরণকালে বরাদ্দকৃত চাল দেওয়ার বিনিময়ে জেলেদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযুক্ত ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মামুন, যিনি জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের নামের স্লিপ প্রদান করছিলেন।

জেলেরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি গুদাম থেকে চাল আনতে পরিবহন খরচের নামে এই টাকা নেওয়া হয়েছে এবং টাকা না দিলে চাল দেওয়া হয়নি। তারা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চাল নিয়েছেন।

ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে, প্রত্যেক জেলেকে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না এবং এর দায় আমার না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ভিডিও ভাইরালের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর