নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের হিজলা উপজেলা জমি বিক্রির টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র ইটভাটা ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষরা। এসময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার দুই ছেলে ইউপি সদস্য ইলিয়াস মেলকার এবং রাকিব মেলকারও আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে কাঠালবাগান এলাকায় স্থানীয় হাসেম সিকদারের নেতৃত্বে দুই ছেলে রুহুল আমিন এবং আরমানসহ ১০ থেকে ১২ জন এই হামলা চালিয়েছে। এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ২ ছেলেসহ বাবা শহীদ মেলকারকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের মধ্যে শহীদ মেলকার এবং ছেলে রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলার শিকার ইটভাটা মালিক শহীদ মেলকারের স্বজনেরা জানায়, দুই ছেলে ইউপি সদস্য ইলিয়াস ও রাকিবকে নিয়ে শহীদ মেলকার সন্ধ্যায় ইটভাটা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাঠালবাগান নামক স্থানে তাদের পথরোধ করে হাসেম সিকদারসহ তার দুই ছেলে রুহুল আমিন, এবং আরমান জমি বিক্রির অর্থ দাবি করেন। এসময় শহীদ মেলকার টাকা নেওয়ার আগে জমির কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে বললে তার ওপর চড়াও হন হাসেম সিকদারের ছেলেরা। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাসেমের ছেলে তার চাচাতো ভাইদের ডেকে আনে এবং অন্তত ১০ থেকে ১২ জন মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। সর্বশেষে দুই ছেলেসহ বাবাকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
তবে এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাসেম সিকদার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, শহীদ মেলকার দীর্ঘদিন হয়েছে ইটভাটার জন্য জমি নিয়েছে এবং তা তিনি ব্যবহারও করছেন। কিন্তু সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেননি। এই টাকা চাইলে বিভিন্ন সময়ে তিনি টালবাহনা করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে কাঠালবাগান এলাকায় পেয়ে টাকা চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে গেলে এই সময়ে তার দুই ছেলের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। এসময় লাঠির আঘাতে তাদের একজনের মাথা ফেটে গেছে দাবি করেন, হাসেম সিকদার।
হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, কাঠালবাগান এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী শহীদ মেলকার এবং তার দুই ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এর আগেই তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ মেলকার এবং ছোট ছেলে রাকিবকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানান ওসি।’
Leave a Reply