এহাজার সূত্রে জানা যায়,গত ২১শে জুলাই বিকেলে উপজেলার গোদন্ডা গ্রামের ফারুক খানের পুত্র জলিল খান স্থানীয় বিজি ইউনিয়ন একাডেমীর মাঠে ফুটবল খেলতেছিল।
এসময় তারই বন্ধু কামদেবপুর গ্রামের মজিবর হাওলাদারের পুত্র সাগর হাওলাদার ও মাদারঘোনা গ্রামের হারুন হাওলাদারের পুত্র মোঃ জসিম হাওলাদার তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে জলিল খানকে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির গেটে আসতে বলে।
তাদের ফোনে সাড়া দিয়ে জলিল খান একাডেমির গেটে আসলে এক বন্ধুর জন্মদিনের দাওয়াতে যাওয়ার কথা বলে জলিল খানকে তাদের মটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাদের মটরসাইকেল বাকেরগঞ্জ থানার মহেষপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পৌছানোর পর পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা মোঃ সালাউদ্দিন(২৮), মোঃ ইমরান বিশ্বাস(২২), মোঃ সালেহ রাব্বি(২২),মোঃ বনি হাওলাদার(২২),রাকিব জোমাদ্দার(২০) সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন জলিলকে রাস্তা থেকে কয়েকশ ফুট দূরে নিয়ে বেধম মারধর করে। এরই ফাঁকে অপহরন কারী দলের মূল হোতা জসিম ও সাগর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে অপহরনকারীরা জলিলের ভাইয়ের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফোন দিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় জলিলকে তারা ক্রসফায়ার দিবে বলে হুমকি দেয়।
তাদের ফোন পেয়ে অপহৃতের স্বজনরা তাৎক্ষনিক ৩০হাজার টাকা নিয়ে অপহরনকারীদের দেয়া লোকেশন বাকেরগঞ্জ থানার বাংলা বাজারে রাত আনুমানিক ১২টা নাগাদ পৌছায়। তাদের কাছে জলিলের ভাই আল-আমিন খান ৩০হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দিবে বলে তাদের ভাইকে ফেরত চায়। ইতিমধ্যে বাকেরগঞ্জ থানার টহল পুলিশ সেখানে পৌছালে আল-আমিন সকল ঘটনা খুলে বললে অপহরনকারীরা দৌড়ে পালানোর চেস্টা করে কিন্তু পুলিশ সাদ্দাম,ইমরান ও রাব্বিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় নলছিটি থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত অফিসার এসআই হুমায়ুন কবির জানান বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।
Leave a Reply