মোঃশহিদুল ইসলাম::বরিশাল নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ইঞ্জিন চালিত রিক্সার ব্যবহার অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ রিক্সায় ইঞ্জিন লাগিয়ে, রিক্সা এখন উড়ালপঙ্খিতে রুপ নিছে। ঘন্টায় ৩০- ৪০কিলোমিটার গতিবেগে চলছে।এতে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ঘটছে দুর্ঘটনা। অদক্ষ চালক আর অবৈধ রিক্সায় ছেয়ে গেছে নগরী। দুর্ঘটনা ও যানজটের কারনে বিভিন্ন সময় ইঞ্জিন চালিত রিক্সার চলাচল বন্ধ করলেও। করোনা কালে তা আবার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।বরিশাল নগরীতে এতো রিক্সা কোথা থেকে এসেছে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।এমন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপও চোখে পড়ছে না। এদিকে খোজ নিয়ে জানাযায়,সাধারণ পাঁয়ের রিক্সাতেই ব্যাটারী আর মোটর লাগিয়ে ইঞ্জিন চালিত রিক্সা তৈরি করা হয়। রিক্সায় ইঞ্জিন লাগাতে খরচ পরে ১৭ থেকে ২৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন ৭থেকে ৮ঘন্টা চার্জ দিতে হয়। ২ থেকে ৩ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। রিক্সার কাঠামো আর ব্রেকিং ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় এবং অদক্ষ চালকের কারনে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় দূর-ঘটনা ঘটছে।বিসিসির নিয়ম অনুযারী মোট কত হাজার পায়ে চালিত রিক্সার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তা এই মুহুর্তে (তথ্য)জানা না গেলেও।
পায়ে চালিত রিক্সার সংখ্যা কত তা সম্পর্কে ধারনা থাকলেও নেই অবৈধ ইঞ্জিন রিক্সার কোন ধারনা। তাই সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।ইঞ্জিন চালিত রিক্সা চালক রফিক জানান, ভোলা থেকে এসেছি অভাবের কারনে, ইঞ্জিন চালিত রিক্সা ভাড়া নিয়ে চালাই।দ্রুত চলে তাই দুইটা টাকা বেশি আয় করতে পারি।ইমন নামে এক সাধারণ যাত্রী বলেন, করোনায় কালে টাকা বেশি গেলেও রিক্সা যাতায়াত করছি।এছাড়া ইঞ্জিন চালিত রিক্সার কারনে আমাদের অনেক সময় সেভ হয়। কিন্তু বেশির ভাগ চালক অদক্ষ।গতকালও ব্রেক ফেল করে রিক্সা পড়ে যায়। এতে চালক সহ যাত্রীরা আহত হয়। তাদের ভালো প্রশিক্ষন দিতে হবে। পাশাপাশি রিক্সার কাঠামো পরিবর্তন করে মজবুত ও ভাল ব্রেক এর ব্যবস্থা করতে হবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় এ ধরনের যানবাহন যাতে না চলতে পারে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
Leave a Reply