ফরিদ মুন্সীঃ ঈদ বলতে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি ঈদের নামাজ পড়া, আলিঙ্গন করা, একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করা, হাতে- হাত মিলিয়ে কিছু সময় ধরে কথা বলা, এইবারের ঈদ একটু ব্যতিক্রমী, অনেক ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও সকলের মঙ্গলের জন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হচ্ছে ঈদের সমস্ত কার্যক্রম।
এইবার ঈদে তোমার সাথে কোলাকুলি করবো না,
তার মানে এই নয় তোমাকে ভালোবাসি না।
এইবার ঈদে তোমার সাথে হাত মিলাবো না,
তার মানে এই নয় তোমাকে ভালোবাসি না।
হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি, তবে খুব ভীষণ ভালোবাসি, তবে হারানোর ভয় এটার জন্যই এত সংশয়। মানুষ মানুষের আপনজন কিন্তু রোগ কারো আপন নয় আমাদের সবার এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত।
এ দুর্যোগ চিরদিন থাকবে না আমাদেরকে ঘিরে,
আমরা আড্ডা দিব, আনন্দ করবো, সেই সুদিন আসবে শীঘ্রই ফিরে। ভালোবাসা যদি ত্যাগের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তবে আমরা একদিন করব দুর্জয়কে জয়।
এ কারণেই একটু সামাজিক সংশয়, সচেতনতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, এগুলো মেনে চললে হয়তো গ্রহণ করতে পারবো প্রাণখোলে মুক্ত বাতাস ভাইরাসমুক্ত নিঃশ্বাস।
আত্মীয়-স্বজন বন্ধু, বড়-ছোট-ভাই তোমাদেরকে চলার পথে চাই তবে তোমাদের ক্ষতি করে নয় , তাই পরিবারের দিকে তাকিয়ে, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ম নীতি মেনে চললে, সমাজে সুস্থতা ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
লকডাউনে থাকলে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে একদিন সোনালী সূর্য উদয় হবে, এ দুর্যোগ চিরদিন থাকবে না, চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রচেষ্টায় আল্লাহর রহমতে তৈরি হয়ে যাবে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। তখন আমাদের আর ঘরবন্দি থাকা লাগবে না এই কথাগুলো সাধারণ মানুষকে বোঝানো খুবই কষ্টকর।
দীর্ঘদিন যাবৎ যাওয়া হয়না আত্মীয় স্বজনদের বাসায়, তারাও মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন দুরে, তারপরেও বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন, করোনা মহামারীর অভিশাপ পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নিবে।
শ্রদ্ধা ও সম্মান করি নিরলস পরিশ্রম করে মানুষকে সেবা দিয়েছেন যারা, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য আছে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ও সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভাইয়েরা। তারাই দেশের সূর্যসন্তান তারাই প্রকৃত বীড়। তারাই আমাদের দুর্ষময়ের বন্ধু। এই দেশের মাটি ও মানুষের জন্য আপনাদের পরিশ্রম অনস্বীকার্য, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সেবায় জাতি প্রাণ ফিরে পাবে এবং সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা পাবে।
এই দুর্যোগের সময় বিভিন্ন দেশে প্রবাসী ভাই আছেন যারা,আমার মনে হয় তারা খুব খারাপ সময় পার করছেন ,আপনারা কখনো মনবল হারাবেন না। আপনাদের জন্য আমরা বাংলাদেশে থেকে সর্বদা শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিবেদন করি।
আপনাদের পরিশ্রম ও স্বপ্ন যেন বৃথা না যায়, আপনারা আপনজনদের কাছে ফিরে আসবেন সুস্থ এবং সুখের বার্তা নিয়ে, আপনাদের ত্যাগ ও অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিদান হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি।
পরিশেষে সবার কাছে আহ্বান এই মহামারিতে কর্মহীন ও দিনমজুর, অসহায় মানুষ যারা পরিস্থিতির স্বীকার, তাদের পাশে থাকার স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টা করে বিত্তবান মানুষের মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলে বেঁচে যাবে অনেক অসহায় মানুষের পরিবার, তাদের দোয়া এবং মানুষিক শান্তির দীর্ঘশ্বাস সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার ভালো ইবাদত এর তালিকায় যুক্ত হবে।
সবাইকে আমার পক্ষ থেকে এবং মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে ঈদ-উল আজহার শুভেচ্ছা। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি,এই মহামারী বিপদ থেকে আল্লাহ যদি হেফাজত করেন, মানুষের কল্যাণ যতটুকু পারি নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করবো। হয়তো আমি তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নয়, আমি মনে করি ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।
Leave a Reply