ঝালকাঠিতে খুন গুমের ৫বছর পর নিহতে কঙ্কাল উদ্ধার ঝালকাঠিতে খুন গুমের ৫বছর পর নিহতে কঙ্কাল উদ্ধার – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ঝালকাঠিতে খুন গুমের ৫বছর পর নিহতে কঙ্কাল উদ্ধার

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ৭৪ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক:::ঝালকাঠির রাজাপুরের বাস কাউন্টার ব্যবসায়ী মোঃ খায়রুল মীর(৩২) নামে এক যুবক গুম ও খুনের ৫বছর পরে নিহতের কঙ্কাল ও পরনের জিন্সপ্যান্ট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সিআইডি পুলিশ। বুধবার (০৫ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় সিআইডি রাজাপুর উপজেলার পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের নীচ থেকে খায়রুলের দেহাবশেষ উদ্ধার করেন।

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের মাদক ব্যবসায়ীসহ চারজনে মিলে নৃশংস ভাবে তাকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে দেয় বলে সিআইডি জানায়। এ ব্যাপারে বুধবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডি কার্যালয়ে এএসপি মোঃ এহসানুল হক সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিংয়ে ক্লুলেস এঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিস্তারিত বর্ননা তুলে ধরেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিগত ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাশ মোড়ের বাসা থেকে মীর আনসার আলীর পুত্র মোঃ খায়রুল মীরকে ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নিয়ে গুম করে। সেখানে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করে ফারকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে মনিরের বাড়ির পাশে লাশ তারা মাটি চাপা দেয়। ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম পূর্ব কানুদাসকাঠি সাকিনের মসজিদ সংলগ্ন বাঁশঝাড় এর গোড়া পুঁতে রাখা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি (নং-১৫, দ:বি: ৩৬৪/৩৬৫/৩০২/২০১/৩৪ ধারা) মামলা দায়ের করে। মামলায় স্থানীয় সৈয়দ জেহাদুল ইসলাম, রিয়াদ, কাজল, পলি বেগম, রুস্তম সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়। রাজাপুর থানা পুলিশ তদন্ত কালে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ফোরকান নামে একজনকে সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ তার কাছ থেকে কোন ক্লু উদ্ধার করতে না পারায় সে আদালত থেকে জামিন লাভ করে।

এদিকে পুলিশ তাদের তদন্তে কোন অগ্রগতি করতে না পারলে সেই বছর ২৬ ডিসেম্বরে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মামলাটি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের উপর দায়িত্ব অর্পন করে। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি ঘটনার প্রনিধানযোগ্য ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হন। সে অনুযায়ী গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে সিআইডি মামলার স্বাক্ষী মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে ঝালকাঠি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের তত্ত্বাবধানে একটি দল ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদিন ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের একটি গোরস্থানে ব্যাপক খোরাখুরির পর বাঁশঝাড়ের গোড়া থেকে জিন্সেরপ্যান্ট, হাত পা বাধা দড়ি সহ কঙ্কাল উদ্ধার করে। তারা প্রাথমিক ভাবে প্রাপ্তআলামত থেকে কঙ্কালটি খাইরুলের বলে নিশ্চিত হন।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত বাদী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানায়, কঙ্কালের সাথে পাওয়া পেন্ট দেখে আমিও মোটামুটি নিশ্চিত যে এটা আমার ভাই খাইরুল মীরের। আমি সিআইডি কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাদের তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসা খুনী ফারকান, সোহাগ ও মনিরের কঠোর বিচার দাবী করি।হত্যাকান্ডে গিয়াস নামে আরো এক আসামী জড়িত থাকলেও ইতিমধ্যে সে মৃত্যুবরন করেছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর