❏ জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি নির্যাতিত শিশুর অভিভাবকের
❏ ঘটনা আড়াল করতে মরিয়া কতৃপক্ষ
স্টাফ রিপোর্টার:- চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বরিশালের আঞ্চলিক একটি পত্রিকায় ‘ নগরীর কাশিপুর নুরানি মাদ্রাসার নামে লুটেপুটে খাচ্ছে এক মোয়াজ্জেম ‘ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়।সেখানেও তার (রফিক হুজুরের)নারী কেলেঙ্কারি ও আর্থিক অনিয়ম ফুটে ওঠে।এরপর আবার সম্প্রতি রফিক হুজুরের আরেকটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত ‘মহিউসসুন্নাহ্ মাহবুবিয়া নুরানি ও হাফিজি মাদ্রাসা ‘তে শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও অনিয়মের। প্রতিষ্ঠানের জিহাদ হুজুর নামে পরিচিত ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে,রাশেদ ২ নং ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর রাশেদের পুত্র ২য় জামাতের ছাত্র আরাফাত সাফিকে তিনি (কথিত শিক্ষক জিহাদ) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে বেত্রাঘাত করে।এতে কোমলমতি ওই শিশুর পায়ে গুরুতর আঘাত পায়।৩-৪ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পাঠিয়ে তাকে চিকিৎসা করায় তার পরিবার। সাবেক মেম্বর তার শিশুকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজিত হলেও ধর্মীয় অনুভূতির কথা চিন্তা করে মামলা করেন নি বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা ও সাবেক মেম্বর মাদ্রাসার শিক্ষক কতৃক শিশুটির নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন।তিনি বলেন ‘ আমার ছেলেকে সম্প্রতি প্রচুর মারধর করেছে শিক্ষক জিহাদ ওরফে ফয়সাল।তবে আমি মামলা করিনি।এলাকার লোকজন আর ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মানুষ মন্তব্য করবে এই চিন্তা করে।আমার ছেলে এখন কিছুটা সুস্থ্য ।
স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী বলেন ‘মাদ্রাসায় জিহাদ হুজুরের শিশুকে মারধরের কথা শুনেছি।এ ঘটনায় শিশুর বাবা তাকে মারতেও এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানের কাছে।পরে লোকজনের হস্তক্ষেপে মারধর করেননি তিনি।’
অভিযুক্ত কথিত মাদ্রাসার শিক্ষক জিহাদকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ আমি মাদারিপুরের ছেলে।এখানে রহমতপুর কৃষি কলেজে পড়ি। আর মাদ্রাসার সকল বিষয়ও দেখি।শিশুটির মানসিক সমস্যা আছে। আর আমি শিশুটিকে প্রায় দেড় বছর আগে একবার মেরেছিলাম।তারপরও আবার একদিন এরকম অভিযোগ করেছেন তারা।এখন যে মারধরের কথা বলে তারা তা মিথ্যা।এ ঘটনার প্রমাণ নেই। আরাফাতকে আমি গত তিনমাসে কোন মারধর করিনি। যার পরিবার শিশুকে জিম্মায় দেয়,তাকে করেছি।যেমন ফয়সাল মাহমুদকে মারধর করি,তার পরিবার আমাকে বলেছে আমার জিম্মায় সে থাকবে।তাই সমস্যা হয়না।’
কোমলমতি শিশু ফয়সাল মাহমুদ ও আরাফাত সাফিকে মারধরের ঘটনার বিষয় সভাপতি মন্নান তালুকদার বলেন ‘ আরাফাত সাফিকে মারধরের ঘটনা তার বাবা মা রটিয়েছে।তারা ষড়যন্ত্র করছে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।’
শিশু ফয়সাল মাহমুদ ও আরাফাত সাফিকে মারধরের ঘটনায় বিতর্কিত রফিকুল বলেন ‘ শিশুটিকে জ্বীনে ধরছে।মারধরের ঘটনা মিথ্যা’
Leave a Reply