স্টাফ রিপোর্টার –চরকাউয়ার বড়ইতলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আঞ্জুয়ারা লিপিকে নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে।
বরিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।পরে স্থানীয়রা আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘ ভুক্তভোগী লিপির স্বামী শফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন যাবত আব্দুল হাইয়ের ছেলে খলিলের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। বিচারিক আদালত শীতকালীন কর্মবিরতির সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ খলিল তার ভাই কামরুলের ইন্ধনে আজ সকালে সেই বিরোধপূর্ণ জমিতে দখল করার জন্য প্রকাশ্যে দিনের বেলাতেই দেশীয় অস্রশস্র নিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এতে শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দিলে প্রতিপক্ষ খলিল, মহিউদ্দিন, আলামিন, আলাউদ্দিন, জাবেদা, সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামকে ধাওয়া করে।এ সময় শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আহত লিপি তার স্বামীকে বাচাতে প্রতিপক্ষর সামনে পড়লে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং শ্লীলতাহানি করে প্রতিপক্ষরা। তাদের ছোট এক শিশুকেও মারধর করতে দ্বিধা করেনি সন্ত্রাসীরা।এদিকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে টাকা পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় , ঘটনার দিন লিপির স্বামীকে মারধোর করে খলিল, মহিউদ্দিন, আলামিন, আলাউদ্দিন, তানিয়া ও জবেদা।এসময় লিপিসহ যে বাঁধা দিয়েছে সেই মার খেয়েছে।তাদের হাতে গাছ কাটার দা, লোহার রড, কুড়াল, লাঠি থাকায় কেউ প্রতিবাদের সাহস করেনি।মারামারির পরে আমরা লিপিকে মেডিকেল ভর্তি করেছি।’
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সার্জারি ইউনিট ২ এর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ‘ আহত নারীকে প্রাথমিকভাবে নিলাফুলা জখম ও শ্লীলতাহানির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।আর কিছু পরিক্ষার পর বোঝা যাবে শরীরের পরিস্থিতি। ‘
সর্বশেষ এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত আহত আঞ্জুয়ারা লিপি শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
Leave a Reply