নয়া পল্টনে ৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুরের অভিযোগ এনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা)-সহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা খারিজ করেছেন আদালত। এ মামলায় আরও প্রায় তিন শ পুলিশ সদস্যকে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করা হয়েছিল।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন আলম। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি শুনেন, পরে মামলা খারিজেরে এ রায় দেন।
এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজাস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (রমনা) বিপ্লব কুমার দাস, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার ( মতিঝিল) হায়াতুল ইসলাম খান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল জোন) গোলাম রুহানি ও কথিত আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমান।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঢাকা, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচ তলার তালা ভেঙে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভাংচুর করে। পরে আসামিরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে টেবিলের ড্রয়ার, কম্পিউটার ও প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেয়। যার মূল্য ১ লাখ টাকা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে, টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। ২য় তলা উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান দরজা আসামিরা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ১টি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটার যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা।
Leave a Reply