আজকাল বিডি ডেস্ক।। রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ শেষ করেছেন প্রিসাইডিং অফিসাররা।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরের পর থেকে গাজীপুর মহানগরের পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
গাজীপুর সিটির ধীরাশ্রম জি কে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২০টি কেন্দ্রের, চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড স্কুল থেকে ১১৫টি কেন্দ্রের, দারুসসালাম মাদ্রাসা থেকে ৫৮টি কেন্দ্রের, আজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮টি কেন্দ্রের ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১৯টি কেন্দ্রের নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
১৯৫ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রেজাউল করিম বলেন, ‘ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী অন্যান্য সরঞ্জাম বুঝে নিয়েছি। কেন্দ্রে পৌঁছে ইভিএম মেশিন চালিয়ে দেখব। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য ৪ জন পুলিশ ও ১২ আনসার সদস্য দেয়া হয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ১৯ জনসহ মোট ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া র্যাবের ৩০টি টিম এবং ২০ প্লাটুন বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ি থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৪৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পূবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১১টি এবং টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক প্রেস বিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ, সেসব কেন্দ্রে বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার যেসব কথার প্রচলন রয়েছে, এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আছে। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখব এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দেব। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে লড়ছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম রনি ও ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
Leave a Reply