আমানতগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বলাৎকার আমানতগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বলাৎকার – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

আমানতগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বলাৎকার

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
  • ৫৪ সময় দর্শন

আমানতগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকার

নিউজ ডেস্ক: বরিশাল নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর আমানতগঞ্জ দারুল কুরআন আদর্শ হাফিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অত্র মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র জিহাদুল ইসলাম রাতুলকে (৯) বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৩ জুন লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবির মাদ্রাসা কক্ষে বসে মাদ্রাসা ছাত্র রাতুলকে বলাৎকার করে এবং কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয়। পরে সুযোগ বুঝে আরো কয়েকবার বলাৎকার করে। কুরবানীর ঈদে মাদ্রাসা ছুটি হলে রাতুলের হাটাচলার কিছুটা পরিবর্তন দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলে রাতুল সবকিছু বলে দেয়। গত ৬ জুলাই ঘটনা জানাজানি হলে লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবিরের পক্ষে স্থানীয় নিজাম ও মিরাজ এসে ভুক্তভোগী রাতুলের মাকে এসে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে যায়। তাদের সহযোগিতায় মাদ্রাসা বন্ধ করে লম্পট হুজুর রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী রাতুল বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় বর্তমানে কোন ছাত্র নেই ইয়াসিন নামের একজন হুজুর ছিল তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন একটা ঝামেলার কারণে মাদ্রাসা আপাতত বন্ধ রয়েছে। হুমায়ুন কবির হুজুর কোথায় গেছে তা আমি জানিনা। কার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ভুক্তভোগী রাতুলের মা কাউনিয়া থানায় যাওয়ার খবর পেয়ে নিজাম ও মিরাজ রোজিনা বেগমের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদেরকে মামলায় আসামী না করার অনুরোধ জানায় বলে জানা যায়। পরে লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ১০।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাতুলের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার ৯ বছরের বাচ্চার সাথে লম্পট হুমায়ুন হুজুর যে কাজ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি তার মাদ্রাসায় বিশ্বাস করি আমার ছেলেকে পড়তে দিয়েছিলাম কিন্তু সে এরকম একটি নেক্কারজনক কাজ আমার ছেলের সাথে করবে যা ভাবতেও পারিনি।

এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদ বলেন, এরকম ঘটনা সমাজকে কলুষিত করে, আমরা অভিযোগ পেয়েছি আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর