জমেঠ উঠেছে আমন চারার হাট জমেঠ উঠেছে আমন চারার হাট – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

জমেঠ উঠেছে আমন চারার হাট

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০
  • ৩০৮ সময় দর্শন

জমেঠ উঠেছে আমন চারার হাট

আজকাল ডেস্ক।। বন্যার পর সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও সলঙ্গাসহ সলঙ্গা সদর হাটে আমন ধানের চারা বিক্রি জমে উঠলেও উচ্চমূল্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছামতো নিচ্ছেন চারার মূল্য। একদিকে করোনার অন্যদিকে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস গুলি কৃষকদের উচ্চমূল্যে আমন ধানের চারা কিনে জমিতে রোপণের পরিবর্তে আগাম জাতের ভুট্রা,সরিষা ও শাকসবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিলেও বর্তমানে তাতে দাম না থাকায় ঝুঁকছেন না স্থানিক কৃষকেরা । এবার গরু খড় ও ধানের দাম বেশি যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা ধান চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচচ্ছে। তাই আমন চারার দাম বেশি হলেও ক্রয় করছে তারা।
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যাই বেশি। কৃষকরা বন্যার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে আমন ধান রোপণের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। তাই এই জেলায় কৃষকরা আমন ধানের চারা সংগ্রহের জন্য ছুটছেন বিভিন্ন গ্রাম ও হাট – বাজারে। বন্যার পর থেকেই রায়গঞ্জ উপজেলায় সলঙ্গা থানার সলঙ্গা সদর প্রাচীন হাটে প্রতিদিন ধানের চারা বিক্রির হাট বসে। সলঙ্গা থানা সংলগ্ন জামে’মসজিদের প্রাচীর ঘেঁষে বসা বিশাল হাটে প্রতিদিন ধানের চারা কিনতে আসেন শত শত কৃষক। এই হাটি জেলার মধ্যে আমন ধানের চারা বিক্রির সবচেয়ে বড় হাট। তাই আশপাশের অনেক জেলা – উপজেলা থেকে সলঙ্গা হাটে আমন ধানের চারা কিনতে আসেন কৃষকরা। এই সুযোগে সলঙ্গা হাটে বেড়েছে মৌসুমি পাইকারদের আনাগোনা। সলঙ্গা হাটের সাব – ইজারাদার বলেন, প্রতিদিন আমন ধানের চারা বিক্রির হাটে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতবদল হচ্ছে। এর আগে এই হাটে এতে বেশি পরিমাণ আমন ধানের চারা বিক্রি হয়নি। বন্যার কারণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়োছে আমন ধানের চারা বিক্রি। দূরদূরান্ত থেকে কৃষকরা চারা সংগ্রহের জন্য এই হাটে আসেন প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলে চারা বেচাকেনা। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে সরকারী ভাবে কৃষকদের জন্য কমিউনিটি বীজতলাসহ কৃষি পুনার্বাসন কর্মসুচির আওতায় কোন অনুদান পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, এবারের বন্যায় রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশ কিছু হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বন্যার পানিতে অনেক কৃষকের আমন ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারী ভাবে এখনোও রায়গঞ্জে কমিউনিটি বীজতলা বানানোসহ কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কোন অনুদান পাইনি যা থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করবো চলনবিল এলাকা তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা লুৎফার নাহার লুনা ঐ একুুুই কথা বলেন, তিনি আরো বলেন, আমি নিজ উদ্দ্যেগেই কৃষকদের তাদের নিজ নিজ উচ্চ জমিতে বাইশ, আব্দুল ঘুটিসহ বিভিন্ন ধানের বীজতলা তৈরি করে চারা তৈরি করার পরার্মশ দিয়েছি। সলঙ্গার ক্রয় – বিক্রয়ের পাইকার আব্দুস সালাম বলেন, গত বারের মতই এবারেও একটু বেশি মূল্যে ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পান ২৫০ – ৩০০ টাকায় বন্যার আগে এই ধানের চারা তেমনি কেনা – বেচা হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান,কিছু ধান রয়েছে ভাদ্র মাসের পরেও রোপন করা যায় তাই বন্যার পরপরই কৃষকদের উঁচু জমিতে সেসব ধানের বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকরা কিছুটা বন্যা ও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। আর হাট থেকে উচ্চমূল্যে আমন ধানের চারা কিনে জমিতে রোপন করলে তাতে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং আগাম জাতের ভূট্রা, সরিষা এবং শাকসবজি চাষ করলে বেশি লাভবান হবেন কৃষক। তবে কৃষকেরা এবার ধানের দাম পেয়ে তারা ধান চাষে আগ্রহী বেশি। আমশড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধ সরকার যদি কৃষকদের সব ধরনের সুযোগ – সুবিধা প্রদান করেন, তাহলে কৃষি খাত থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় মহামারি করোনা ও রাক্ষ্যসী বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষককে বাসলে ভালো সবাই থাকবে সুখে।

দৈনিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর