তারিকুল ইসলাম:: যেখানে আধুনিকতা আকাশ ছুঁয়েছে। বিশাল বিশাল অট্রালিকায় আজ মানুষের বসবাস।কাউন্সিলর আসে কাউন্সিলর যায় সমাজের পরিবর্তন হলেও,পরিবর্তন হয় না অন্ধ অন্ধ নুরে আলম খায়ের।ঝুপড়ি আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেতে থাকতে আক্রান্ত হয়ে পরেছে বিভিন্ন দুরাগ্যে। সেখানে রাস্তার পাশে এক ঝুপড়ি ঘরেই এক যুগ কেটে গেছে অন্ধ ভূমিহীন নুরে আলম খা! গত এক যুগ ধরে চার নাম্বার ওয়ার্ড বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উত্তর আমানত গঞ্জ সিকদার পাড়া মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশে টং ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছেন অসহায় দারিদ্র্য ভূমিহীন ৬৩ বছর বয়সী অন্ধ নুরে আলম খা। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের সেই উক্তি ‘ঈশ্বর থাকেন ওই গ্রামে, ভদ্রপল্লীতে।এখানে তাঁহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না’- কথাটির মর্ম উপলব্ধ হয় নুরে আলম খা জীর্ণ টং কুটিরে গেলে।
নিজের এই অসহায় পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে কান্না ভেজা কন্ঠে অন্ধ নুরে আলম খা বলেন, আমি চোখে দেখি না কোন কাজ করতে পারিনা মানুষ যা দেয় তা দিয়ে কোন মতে চলি,আমার থাকার মত কন জায়গা জমি নেই।পরিবারের কেউ না থাকায় অসহায় হয়ে পরেছি বেশী,দেখভাল করার কেউ নেই।বর্ষাকালে কস্টের সীমা থাকেনা।শুনিছি সরকার গরীব মানষির অনেক কিছু দেয় কই আমরাতো কিচ্ছু পাইনে। দু’বেলা দু’মুঠো ভাতও খাইতে পারিনা। সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে চায়ের দোকানে কাটে সময়। বৃষ্টি হলি টং দোকানের মধ্যে পানি পড়ে। খাতাসহ কাপড় সবকিছু ভিজি যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নুরে আলম খা রাস্তার পাশে টং দোকানের ঝুপড়ির ভিতর জরাজীর্ন ভাবে বসে আছে। বৃষ্টিতে ভিজে জরাজীর্ন ভাবে,এখন আর কেউ তার কাছে আসেনা কেউ আর সাহায্য করেনা। অনেক সময় শুকনা চিরা খেয়ে দিন পার করে।
নুরে আলম খা জানান এখানের স্থানীয় লোকজনের অর্থায়নে আমাকে এই টং দোকান কিনে থাকার মত জায়গা করে দিয়েছে।আমার থাকা বা জাওয়ার কোন্ জায়গা পরিবার বলতে আমার কেউ নেই,এক মেয়ে ছিল তাকে বিয়ে দিয়েছি ফরিদপুর তার অবস্থা অসচ্ছল হওয়া সে এখন আমার খোঁজ নেয় না।
কথা হয় চা দোকানী আলতাফ হোসেনের সাথে জানান তার থাকার মত কোন জায়গা নেয়,দিনের বেলা আমার দোকানের সামনে বসে থাকে,সরকার যদি একটা ঘর দেয় তাইলে সেখানে থাকেতে পারত।চোখে না দেখার কারনে বৃষ্টি হলে যাওয়ার কোন জায়গা থাকে না।বৃষ্টিতে ভিজে আসলে তার শরীর থেকে দূর্গন্ধ আসে কেউ পাশে আসতে চায় না।
কথা হয় জমি মালিক জাহাঙ্গীর সিকদারের সাথে যার জমিতে বর্তমানে নুর আলমের টং ঘর,সে জানান যে নুর আলম দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় বসবাস করে আসছে তার মাথা গোজার কোন জায়গা নেই সে আমার জায়গায় এখন থাকিতেছে, তার কারনে আমি সেখানে স্টলের কাজ করিতে পারছি না।খুব শ্রীগ্রহ আমি কাজ শুরু করব।সে কোথায় থাকবে আমি জানিনা।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এর সাথে সে জানান তার একটা সরকারী ঘর পাওয়ার জন্য যা করা দরকার তা আমি করব।
এ বিষয়ে নিয়ে কথা হয় চার নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ শামসুদ্দৌহার সাথে সে জানান আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তাকে সরকারি ভাবে যাতে একটা ঘর পেতে পারে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
Leave a Reply