দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করতে থেমে নেই কৃষক ও কৃষি কাজ। চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় দিনের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে নেমে পড়ায় জনজীবন যখন জবুথবু তখন গরু হাঁকিয়ে ও লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে ঘন কুয়াশা ভেদ করে বোরোর মাঠে চলেছেন চাষি। শুরু করেছেন মাঠ প্রস্তুতের কাজ। আর শীতে কষ্ট কমাতে গরুর গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন চাষি।
শুধু জীবন-জীবিকার তাগিদেই নয়, দেশকে ভালোবাসেন বলেই দেশকে কৃষিতে সমৃদ্ধি করতে চাষিদের এ যেন এক নীরব প্রচেষ্টা।
বুধবার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রাজবংশীপাড়ার বোরোর মাঠে দেখা মিলে এমন এক চাষির। যিনি গরুর গায়ে নীল-সবুজ রঙের কম্বল জড়িয়ে বোরোর মাঠ তৈরি করছেন। গরুর প্রতি চাষির এ মানবিক আচরণ এখন এলাকার সব চাষির মুখে মুখে।
ওই চাষির কাছে গিয়ে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে কথোপকথনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম রোজবুল। পার্শ্ববর্তী রাজবংশীপাড়ায় তার বাড়ি। ৪ সদস্যের সংসারে তিনিই একমাত্র আয় উপার্জন করেন।
তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে বোরোর চাষাবাদ করবেন তাই মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভাড়ায়ও মানুষের জমিতে বোরোর মাঠ প্রস্তুত করে দেন। এ কারণেই ঘরে রেখেছেন দুটি বলদ গরু। বলতে গেলে বদল গরুর কারণেই আয়-রোজগারে চলে তার সংসার। সন্তানের মতো করেই আগলে রাখেন গরু দুটিকে। খাওয়ান ও দেখভাল করেন ভালো করে। তাই বিরাজমান এ কনকনে ঠান্ডায় দুটি কম্বল কিনে জড়িয়ে দিয়েছেন গরু দুটির গায়ে।
এদিকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
Leave a Reply