শরণখোলায় রাস্তার মাঝখানের সেই দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বুধবার বিকালে প্রশাসনের সহায়তায় দেয়াল ভাঙার পরে অবমুক্ত হয়েছে একমাস ধরে অবরুদ্ধ থাকা ১৩ পরিবার। চলাচলের রাস্তা ফিরে পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ওই পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
শনিবার বিভিন্ন গণমাধমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশাসন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম ও থানার ওসি এইচএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামে যান। একপর্যায়ে বিরোধপূর্ণ রাস্তার জমির মালিকানা দাবি করা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন খানের স্ত্রী তুলি বেগমের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা করেন তারা। এরপর রাস্তার মাঝখানের সেই দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয়।
অবরুদ্ধ ১৩ পরিবারের পক্ষে দিলীপ কুমার মিস্ত্রি বলেন, প্রায় এক মাস ধরে আমরা বন্দি অবস্থায় ছিলাম। রাস্তা বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে আমাদের চলাচল করতে হয়েছে। দেয়াল তুলে নেওয়ায় আমরা এখন মুক্ত। আমাদের মুক্ত করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
রাস্তার জমির মালিক মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী তুলি বেগম বলেন, রাস্তা নিয়ে যে বিরোধ ছিল প্রশাসনের মাধ্যমে তা সমাধান হয়েছে। রাস্তায় আমাদের যে পরিমাণ জমি গেছে তা ওই ১৩ পরিবারের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যার মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম ও ওসি এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, জমির মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পেরেছি। দেয়াল তুলে দেওয়ার পর সবার চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। রাস্তার জমি বাজার দর অনুযায়ী মালিককে মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে ১৩ পরিবারের নামে রেজিস্ট্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Leave a Reply