সবচেয়ে বেশি জাল হচ্ছে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ বা বিভিন্ন উৎসবের সময় নোট জাল বেশি হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে বড় অংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংকের মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে জাল নোট সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিল শেষে পুঞ্জিভূত জাল নোট সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮০১টি।
গত ৫ বছরের মধ্যে বেশি জাল নোট ধরা পরেছে ২০২০ সালে ৩৭ হাজার ৫৩টি। এর মধ্যে এক হাজার টাকার জাল নোটই ছিল ৩৩ হাজার ৬৮১টি এবং ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল ৩ হাজার ৩৬৪টি।
২০১৯ সালে ১৫ হাজার ৭৬০টি, ২০২১ সালে ১৮ হাজার ৫০৪টি, ২০২২ সালে ২৪ হাজার ২৭৫টি এবং ২০২৩ সালে ২০ হাজার ৪৮৮টি জাল নোট জব্দ করা হয়েছে।
২০২২ সালে জাল নোট সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল ১৩২টি এবং গত বছর ২০২৩ সালে মামলা হয়েছে ১৫০টি। গত বছর ১৭৫টি নিষ্পত্তি হওয়ায় ও এপ্রিল পর্যন্ত মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮০১টি।
এদিকে জাল নোটের প্রচলন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭ শাখা অফিসের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, বরিশাল ও সিলেট অফিসের আওতাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জাল টাকা চিনতে হাটবাজারের দোকানদারদেরকে জনসচেতনামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জালনোট প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার অংশ হিসেবে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ভিডিওচিত্র প্রচার করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে লেনদেনের সময় মেশিনের সাহায্যে নোট পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া কোরবানির পশুর হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। হাটের আশেপাশের ব্যাংকের শাখাগুলো রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply