বিসিসি’র কর্মচারী লিটন’র বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ বিসিসি’র কর্মচারী লিটন’র বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন

বিসিসি’র কর্মচারী লিটন’র বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৯৮ সময় দর্শন

বিসিসি’র কর্মচারী লিটন’র বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

মোঃ শহিদুল ইসলাম: বরিশাল সদর উপজেলার ২ নং কাশিপুর ইউনিয়নে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঐ গৃহবধু হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীরা প্রভাবশালি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।নির্যাতিত গৃহবধু জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে সদর উপজেলার ২নং কাশিপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড কলস গ্রামের মৃত্যু হাসেম হাওলাদারের ছেলে মোঃ রেজাউল করিম লিটন(৪৪) সাথে বিয়ে হয়। একই উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড মহাবাজ উলানঘুনি গ্রামের মৃত্যু আবদুস সোবাহানের কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন সিমা’র সাথে (৩৫)বিবাহের পর তারা ঘর সংসার করতে থাকে। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই স্বামী যৌতুক দাবী করতে থাকে। টাকা এনে না দিলে চলে অমানবিক নির্যাতন। ধাপে ধাপে প্রায় ৪ লক্ষ টাকারও বেশি যৌতুক নেন স্বামী রেজাউল।বছরের পর বছর সব চুপ করে সহ্য করে সংসার কারতে থাকেন সিমা।পাষণ্ড স্বামী গত দুই বছর যাবদ ফের ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।সন্তানদের সামনেই এই টাকার জন্য প্রায় প্রতিদিনই নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। দুইটি ছেলে সন্তানদের কথা চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে আসছেন সিমা। নির্যাতনের কথা শুনে গত দুই বছরের আগায় মাথায় হার্টএ্যাটাক করে মৃত্যু বরন করেন সিমার মা-বাবা।এর পরও যৌতুক নিতে চাপ অবহৃত রাখে স্বামী রেজাউল।সিমার বাবার পেনশনের টাকা থেকে যৌতুক নিতে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন রেজাউল।৫ লক্ষ টাকা যৌতুক ছাড়াও গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জরুরী ভিত্তিতে ১০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। শারীর নির্যাতনের ভয়ে মেয়ের ফুফুর বাড়ি টাকার জন্য গেলে, আসতে দেরি হওয়ায়,কাশিপুরের বাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয় পাষান্ড স্বামী রেজাউল। তালা মেরে মোবাইল বন্ধ করে তিনি আত্মা গোপনে যায়।দুইটি ছেলে সন্তান নিয়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বাসার সামনে অবস্হান করেন সিমা।এ সময় তাদের কান্নাকাটি শুনে এলাকার লোকজন সহ সাংবাদিক, ইউপি সদস্য এবং মুরুবীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।রেজাউলের এমন কর্মকান্ডে উপস্থিত সকলেই বিচার দাবি করেন।পারিবারিক সুত্রে থেকে জানা যায়,মোঃ রেজাউল করিম লিটন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের হাট বাজার ও স্টল শাখায় কর্মরত আছেন,,বিয়ের পর পরই তিনি চাকরীর দোহাই দিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে লক লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়েছেন।টাকা না দিলে নেমে আসতো নিষ্ঠুর নির্মমতা। সংসার জীবনে নির্যাতনের ফলে বহুদিন মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলো সিমা।পাগল আক্ষা দিয়ে বহুবার বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে লম্পট স্বামী। চাকুরী আর নগত টাকার গরমে তিনি লুচ্চায় পরিনত হন রেজাউল।একাধিক নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িয়েছেন তিনি।প্রমান হিসাবে আছে ফোন রেকর্ড ও ছবি তোলা।পরিবারকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেননি তারা।বরং রেজাউলকে উসকে দিয়েছে,এতে আরও ক্ষীপ্ত হয়ে স্ত্রীকে মধ্যযুগিও কায়দায় নির্যাতন চালাত। এতে কানের পড়দা ফাটা, ঠোট কাটা, কপালকাটা সহ বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে সিমার শরীরে।স্বামীর পরিবার প্রভাব শালি হওয়ায় কোন মুখতে সাহস পাননি বলে জানান তারা।তারা আরও জানান রেজাউলের বড় দুই ভাই,বড় ভাই ইউসুব হাওলাদার তিনি বিসিসির স্বাস্থ্য শাখায় অনিয়ম এর কারনে ওএসডিতে আছেন,মেজ ভাই দেলোয়ার হোসেন দিলু খুলনা সিটি কর্পোরেশনে রোলার ম্যান হিসাবে কর্মরত আছেন।তার রয়েছে প্রায় ২০টি মতো বিয়ের অভিযোগ।কয়েক দশক ধরে রেজাউলের পরিবারের বাবা,তিন ভাই,চাচা, খালু,মামা,সহ প্রায় অনেকই সিটি কর্পোরেন চাকুরী করেছেন।এমনকি এখনও করছেন।তাদের দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কারনে অকারনে ক্ষমতা দেখান।তারা প্রায় বলেন সব আমলের মেয়ররা তাদের পকেটে থাকেন। আমাদের কেউ কিছু করতে পারবেনা বলে প্রায় হুশিয়ারি দেন তারা।কাশিপুর ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি সবই জানি, এদের কর্ম কান্ডে আমরা বিবৃত। এছাড়া রেজাউলের ঘরে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে তিনি এখন যদি না সুধরায় তা হলে আইনে যা আছে সেটা করা উচিত। সাবিনা ইয়াসমিন সিমা কান্না জনিত কন্ঠে জানান, আমি ১৮ টি বছর নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছি, আমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে বেচে আছি।কেহর কাছে অভিযোগের জন্য গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিত।তাই ভয়তেও সাহস করিনি কাউকে জানাতে। চাকুরীর জন্য বাবার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি একটু সুখের আশায়। শুধু তাই নয়, সুন্নাতি লেভাস লাগিয়ে একাধিক নারীদের সাথে পরক্রিয়া লিপ্ত রেজাউল।অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আমার হাতে কয়েকবার ধরা পরেছে। শাশুড়ি এবং ভাশুর তাদের কাছে বিচার দিয়েও কোন সমাধান মেলেনি।এরপরও ছেলেদের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করে আসছিলাম।চরিত্রহীন লম্পট গত ৮অক্টোবর আমাকে নির্যাতন করে বাসায় তালা মেরে আমি আমার দুই সন্তানকে তাড়িয়ে দিলো। আমাকে নিয়ে আর সংসার করবে না।এমন অবস্থায় সিমা আরও জানান সিটিতে চাকরী করে বিধায় সে বার বার হুক্কুর দিয়ে বলে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না,আমি মেয়রের লোক।আমার ভাই এবং আমাকে লোক দিয়ে এখনও মামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ভাইয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমি আমার দুইটি ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাচতে চাই,আর লম্পট,চরিত্রহীন স্বামীর দৃস্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই।এদিকে কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন লিটন মোল্লা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানা যায়।এ ব্যাপারে রেজাউল করিম লিটনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও আসছে বিস্তারিত চোখ রাখুন,,,

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর