রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র-মদ ও সোনাসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলাগুলো গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে এ মামলার তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দা পুলিশ করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক সামছুল আলম।
অন্যদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্যদের কারও সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাসায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ২১ নভেম্বর সকালে মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে এক কোটি নয় লাখ টাকা, ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি, স্বর্ণালংকার, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। গোল্ডেন মনির একটি রাজনৈতিক দলের অর্থ জোগান দিত বলে জানিয়েছে র্যাব।
এ ছাড়া অবৈধভাবে আমদানি করা দুটি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। যার মূল্য তিন কোটি টাকার ওপরে। এ ছাড়া শোরুমে আরও তিনটি গাড়ি পাওয়া যায়।
নব্বই দশকে গাউছিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী মনির স্বর্ণ চোরকারবারি, হুন্ডি ও ভূমি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাড্ডা ও কেরানীগঞ্জে মনিরের দুই শতাধিক প্লটের হদিস পেয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোল্ডেন মনিরের আরেকটি পরিচয় আছে, সেটা হচ্ছে ভূমিদস্যু। রাজউকের অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকার শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, এর পাশাপাশি বাড্ডা নিকুঞ্জ উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে ২০০ বেশি প্লট রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কথা তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
এর পরে গণমাধ্যমে উঠে আসছে তার পেছনে মদদদাতাদের তথ্য। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে ‘গোল্ডেন মনির সরকারদলীয় একজন প্রতিমন্ত্রীকে গাড়ি দিয়েছেন এবং এমপিদের সঙ্গে তার যোগসাজশ ছিল। এ ছাড়া তার বাসায় দুই শতাধিক প্লটের কাগজ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply