আজকাল ডেস্ক।।বকেয়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে পরিশাধের নির্দেশকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নির্দয় প্রতারণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। বিবৃতিতে মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে পরিশোধের নির্দেশ ও পরিশোধ না করলে পুনরায় বিলম্ব মাশুল ধার্য এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের যে আল্টিমেটাম বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন, তা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নির্দয় প্রতারণার শামিল।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারা দেশ যখন স্থবির, মানুষের আয়-রোজগার যখন প্রায় বন্ধ, সাধারণ মানুষের পক্ষে খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকাই যেখানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে, তখন গ্রাহকদেরকে এভাবে বাধ্য করা কোনোভাবে মানবিক কাজ হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ বিল দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে গ্রাহকদের সহযোগিতার স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিল পরিশোধ করলেও কোনো সমস্যা হবে না। তাই আর্থিক কষ্টে জর্জরিত সাধারণ মানুষ সরকারের আশ্বাসে আশাবাদী হয়ে বিল পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পূর্বেই এভাবে মানুষকে একসঙ্গে বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম তাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ভঙ্গ বলে আমরা মনে করি। এক সঙ্গে এত বিল তাদের উপর বোঝা আরও বাড়িয়েছে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় ভুতুরে বিল আসলেও তা সমাধান করা হচ্ছে না।’ ভাড়টিয়া পরিষদের সভাপতি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাধারণ ভাড়াটিয়াসহ সকল গ্রাহকের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময়সীমা আরও বাড়ানো হোক। বিলম্ব মাশুল সম্পূর্ণ মওকুফ করা হোক। আরও তিন মাস পর প্রতিমাসের সঙ্গে এক মাসের করে বিল যোগ করে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হোক। একসঙ্গে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম গ্রাহকদের উপর আর্থিক ও মানসিক চাপ তৈরি করছে। এ চাপ থেকে জনগণকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
Leave a Reply