আজকাল ডেস্ক।। ঝালকাঠির নথুল্লাহবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ওএমএস কার্ডের তালিকা প্রনয়নে দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। তার এসব সুনিদৃষ্ট ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ড তুলে ধরে নথুল্লাহবাদ ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ভূক্তভুগী মোঃ আনোয়ার হোসেন খায়রুল ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২১ নভেম্বর ২০১৬ইং তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে ওএমএস তালিকায় আমাদের নাম অন্তর্ভূক্ত থাকায় ৫/৭ বার চাউল পাওয়ার পর ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান আবুল সত্যায়িত করার কথা বলে আমাদের বেশ কয়েকজনের কার্ড নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। এরপর বহু বার আমাদের কার্ড ফেরৎ চাইলে সে না দিয়ে আমাদের নাম পাল্টে অর্থের বিনিময়ে সেই ওএমএস কার্ড অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে জানতে পারি। উক্ত মেম্বার বিগত ১২ফেব্রুয়ারী ২০১৯ইং তারিখের করা ওএমএস তালিকায় তার নিজ পিতা, ভাই, চাচা, চাচাতো ভাই, ফুপাতো বোন, চাচাতো ভাইর স্ত্রী, ভগ্নিপতি সহ বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজনকে ৯নং ওয়ার্ডের ডুকিয়ে ১৪/১৫টি বরাদ্ধকৃত কার্ডের অনুকুলে দেয়া চাউল নিজেই তুলে রাতে আধারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এমন কি ৯নং আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খায়রুলের নাম ওএমএস তালিকাভূক্ত থাকলেও সে ক্ষমতার বলে তার নাম তালিকা থেকে কেটে দেয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, শুধু ওএমএস তালিকাতেই নয় ইউপি সদস্য আজিজুর বর্তমানে গাজীপুরের বাসিন্ধা আজিজুর রহমানের স্ত্রী পারভীন আক্তার নামে এক মহিলার নাম ভিজিডি তালিকাভূক্ত করে সেই কার্ডের বরাদ্ধ নিজেই আত্মসাৎ করে আসছে। তাছাড়াও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে ইউপি সদস্য আজিজুর তার ওয়ার্ডের মনির হোসেন, আলমগীর হাং, মমতাজ বেগম, আলামিন শেখ, লতিফ হাং ধলু, ফরিদ তালুকদার, কাসেম হাং, আশ্রাফ আলী, ওহেদ আকন ও রুমা বেগম সহ বহু লোকের নাম কর্তন ও পরিবর্তন করে ফেলে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান আবুল জানায়, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বিগত নির্বাচনে তার সাথে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত ইসমাইল বিশ্বাস ও তার কতিপয় সহযোগী তাকে হয়রানি ও তার সুনাম নষ্ট করতে এসব ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলেই তা প্রমান হবে।”
Leave a Reply