করোনা মহামারীর মধ্যে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশে উপকূলীয় অঞ্চল। খুলনা উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় বাঁধ ভেঙেছে। ভেঙেছে ঘর। থাকার এক চিলতে জায়গাও যেন নেই। ঘরের মধ্যেও হাঁটু সমান পানি। এবার ঈদ উল ফিতরের জামাত তারা হাঁটু পানির মধ্যে আদায় করেছেন।
সোমবার সুন্দরবন সংলগ্ন এ এলাকাটিতে ৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। দুপুরে জোয়ারের আগ পর্যন্ত আংশিক বাঁধ মেরামত শেষে ক্ষুধার্ত মানুষরা খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি ফেরেন। এভাবেই ঈদের দিন বাঁধ মেরামত করেছেন সুপার সাইক্লোন আম্ফানে ক্ষতবিক্ষত হওয়া কয়রার মানুষ। মঙ্গলবার আবারো বাঁধ মেরামতে নামবেন তারা। লোনা পানি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে হাজার হাজার মানুষ।
হাঁটু পানিতে ঈদ উল ফিতরের নামায আদায় করছেন মুসল্লিরা- সংগৃহীত
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে কয়রার পাউবোর বেড়িবাঁধের ২৭টি পয়েন্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। তখনও ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে নৌকায় অথবা বাঁশের ঝাপির ওপরে। চলতি বছরের ২০ মে আম্ফানের আঘাতে কয়রার বেড়িবাঁধের ২৪ পয়েন্ট ভেঙে আবারও লোনা পানিতে সয়লাব হয়।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার বাসিন্দা সিরাজুদ্দৌলা লিংকন, আইয়ুব আলী সানা, সদর উদ্দিন ও আব্দুল খালেক জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে পড়া উপকূলবাসীর এবারের ঈদ উৎসব কেড়ে নিয়েছে আম্ফান।
Leave a Reply