আজকাল ডেস্ক।।পিরোজপুরের কাউখালীতে শতাধীক গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে অনন্যা সমাজ কল্যান সংস্থ্যা নামের একটি ভূয়া এনজিওর কর্মীরা উধাও হয়ে গেছে। এসময় গ্রহকরা বাড়ীর মালিক আঃ জব্বার হাওলাদারকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
স্থাণীয়রা জানান, অনন্যা সমাজ কল্যান সংস্থা নামের এনজিওটি প্রায় শতাধিক গ্রাহকের ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এনজিওটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামের ব্রীজ সংলগ্ন আব্দুর জব্বার হাওলাদারের পাকা ভবনে ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতেন। এর আগে ওই এনজিওটি উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকার এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে কার্যক্রম চালাতেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ইলিয়াস হোসেন জানান, ওই এনজিও থেকে তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলতে গত শনিবার জামানত (সঞ্চয়) হিসাবে ৫হাজার ২৫০টাকা জমা দেন। এনজিওটি সোমবার ওই ঋণ হিসাবে ৫০হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। তিনি আরও জানান, আমার সাথে এ সময় ৫০হাজার টাকা করে ঋণ নিতে আরো ৯জনে প্রত্যেকে ৫হাজার ২৫০টাকা করে জমা দেন। গত রবিবার সকালে অফিসের লোকজনকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরে এসে দেখি অফিসটি তালাবদ্ধ। এখানে এসে দেখি আমার মতো অনেক নারী-পুরুষ জড়ো হয়েছেন।
প্রতারনার স্বীকার মামুন হোসেন জানান, আমি এক লাখ টাকা ঋণ নিতে ১১হাজার টাকা সঞ্চয় হিসাবে জমা দিয়েছি। ২দিন আগেই টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তাদের টাকার বরাদ্দ আসেনি বলে আমাকে ঘুরতে হয়েছে।
ওই এনজিওটিকে অফিস হিসাবে ঘর ভাড়া দেয়া ভবন মালিক আব্দুল জব্বার হোসেন জানান, তার ঘরটি গত ৭/৮দিন আগে ওই এনজিওটির শাখা ম্যানেজার পরিচয়ে এক ব্যাক্তি এসে ভাড়া করেন। এ সময় তিনি বাড়ি না থাকায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগমের সাথে তাদের মৌখিক চুক্তি হয়। গত রবিবার এর লিখিত চুক্তি হবার কথা ছিলো। তারা কিছু আসবাব পত্র রেখে এক নারী ও ২ পুরুষ এনজিও কর্মী হিসাবে কাজ চালাতে থাকে।
স্থাণীয়রা জানান, ওই এনজিওটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ঋণ নিতে ইচ্ছুকদের ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রায় শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে জামানত হিসাবে টাকা জমা নিয়েছেন।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়েছি একটি ভূয়া এনজিও গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করবো ভূয়া এনজিও সনাক্ত করে গ্রাহকদের টাকা উদ্ধার করার। এসময় ওই এনজিওটিতে টাকা জমা দেওয়া ২৫/৩০ জন তাদের সঞ্চয় বই আমাদের কাছে জমা দিয়েছে এবং থানায় গ্রাহক জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ঘর মালিক সহ ৫জনকে আসামী করে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply