বগুড়ার শিবগঞ্জের পল্লীতে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূ রত্না বেগম (৩২) সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় দিকে গৃহবধূ রত্না বেগম শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামের সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন করে এই হুমকি দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনেন।
রাতে তাকে খাদ্য সহায়তা ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা থেকে নিবৃত্ত করে পুলিশ। রাতেই এ বিষয়ে থানায় স্বামী, শ্বশুর ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগে দিয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টায় দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রত্না বেগম ওই গ্রামের মো. শামীম প্রামানিকের স্ত্রী।
অভিযোগে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মোখলেছার রহমানের মেয়ে রত্না বেগমের সঙ্গে তালিবপুর গ্রামের নান্নু প্রামানিকের ছেলে শামীম প্রামানিকের (৪০) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। এর আগে রত্না বেগম চার বছর বিদেশে ছিলেন। সেই সময় তার আয় রোজগার স্বামী ও শ্বশুরকে দিয়েছে। ২০২০ সালে দেশে ফেরার পর থেকেই ছোট-খাটো বিষয়ে তার ওপর নির্যাতন চালালো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আবারও মারধর ভয়ভীতি হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রত্না বেগম জানান, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাধ্য হয়ে থানার ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে জানাই ‘এই সমস্যা সমাধান না করলে আমি সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করব’। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, নারী কণ্ঠে আত্মহত্যার হুমকি পেয়ে আমি নিজেও বিচলিত হয়ে পরি। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। সেখানে তাকে শান্ত করে খাদ্য সহায়তা দিয়ে এবং আইনগত সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, ওই গৃহবধূ আশ্বস্ত করেছেন তিনি আত্মহত্যা করবেন না। এ জন্য তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। রবিবার সকাল ১০টায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মিমাংসার জন্য তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
Leave a Reply