নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃবরিশালে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে অবশেষে দীর্ঘদিন পর ঘুম ভেঙেছে প্রশাসনের।ঘটনার তিন মাস পর প্রতিপক্ষের বাঁশের বেড়ার অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলার বড় মগড়া গ্রামের পাঁচটি পরিবারসহ গ্রামের লোকজন। ২৭ আগস্ট বিভিন্ন অনলাইনে ও পরদিন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে ‘প্রতিপক্ষের বাঁশের বেড়ায় অবরুদ্ধ ৫ পরিবারসহ গ্রামের লোকজন, ইউএনও’র কাছে প্রতিকার চেয়েও সুফল পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা’ এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পরে প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম উত্তর বড়মগরা গ্রামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা অবরুদ্ধ পাঁচটি পরিবারের চলাচলের রাস্তায় প্রতিপক্ষের দেওয়া বাঁশের বেড়া অপসারণ করে দেন। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করেন তারা।
এর আগে আদিত্য বাগচীর ছেলে বাসুদেব বাগচীসহ ৫টি পরিবার ও এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় বাঁশের বেড়ায় আটকে দিয়ে দীর্ঘ তিন মাস যাবত বন্ধ করে দেয় একই বাড়ির শতীশ বাগচীর ছেলে সচীন বাগচী, সুনিল বাগচী ও সুধীর বাগচী। তিন মাস যাবত তাদের চলাচলের পথ বন্ধ থাকার পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হলেও এতদিন তা গুরুত্বই দেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম বলেন, বাড়ির যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশের বেড়া অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে উভয়পক্ষকে বসিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply