যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় বানারীপাড়ায় স্ত্রী’র স্বাক্ষর নিয়ে নিজের নামে তালাকনামা তৈরি করেছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী পিংকি বলেন, উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের আব্দুর রব মৃধার ছেলে মোস্তফা মৃধার সঙ্গে প্রায় ৫ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। স্বামী-সন্তানকে নিয়ে তার সংসার বেশ ভালই চলছিল।
সম্প্রতি মোস্তফা মৃধা স্ত্রী পিংকিকে বাবার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু পিংকি টাকা এনে দিতে না চাওয়ার মোস্তফা তাকে মারধর করে। স্বামীর নির্যাতন সত্ত্বেও তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি শ্বশুর বাড়িতে থেকে যান।
পিংকি বলেন, ১৫ দিন পূর্বে তার স্বামী একটি এনজিওর থেকে লোন উত্তোলনের কথা বলে তার কাছ থেকে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরে ওই স্ট্যাম্পে বরিশাল নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে পিংকি তালাক দিয়েছে বলে একটি তালাকনামা তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তফা মৃধা পিংকিকে ফের বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য বলে। কিন্তু পিংকি বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মোস্তফা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। এ সময় মোস্তফা সেই ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে কোলের শিশুকে রেখে রাতের আধাঁরে ঘর থেকে স্ত্রী পিংকিকে বের করে দেয়। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে পার্শ্ববর্তী নারী ইউপি সদস্য রেকসোনা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সকালে ইউপি মেম্বার রেকসোনা বেগম মোস্তফার বাড়িতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে একই দিন রাতে পিংকি স্বামী মোস্তফা মৃধার নামে মামলা দায়ের করেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মো. জাফর আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত করার জন্য এসআই অপূর্ব কুমার দাসকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাতেই উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে মোস্তফা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
Leave a Reply