বরিশালের এপিবিএন ১০ এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) আবু নাছের মো.খালেদ এর বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের মিশনে নেমেছে সেই বহু বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সদস্য জালাল তুলুকদার। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিআইপি রোডের বাসিন্দা ও অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলকৃত জমিতে বহুতল ভবনের মালিক জালাল তালুকদার চাকুরী জীবনে একজন পুলিশের সাধারণ এসআই ছিলেন সর্বশেষ। অথচ, আলাদিনের চেরাগের মত ‘পাওয়া ‘ র বদৌলতে বনে গেছেন কোটিপতি। এপিবিএন ১০ এর কার্যালয়ের বিপরীতে ঐতিহাসিক শোভারাণী খাল অবৈধভাবে দখল করে সিন্ডিকেট তৈরি করে করেছেন বহুতল ভবন নির্মান। সিটি কর্পোরেশন একাধিকার কাজ বন্ধ করলেও অসদুপায় অবলম্বন করে গড়েছেন দালান। সর্বশেষ বরিশালের বদ্ধভূমি রক্ষা ও রাস্তা প্রসারের জন্য সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ নিলে এপিবিএন ১০ এর অধিনায়ক সেই মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে ইতিবাচক ও শোভারাণী খাল উদ্ধারে সহমত পোষণ করে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দেয়ার কথা জেনে গভীর ষড়যন্ত্রে নামে জালাল তালুকদার ও তার সিন্ডিকেট। তারই ধারাবাহিকতায় টেন্ডার দেয়াকে কেন্দ্র করে একজন সাবেক কাউন্সিলরকে গুটি হিসেবে সম্মুখে রেখে এসপি আবু নাসেরকে শায়েস্তা করতে আইজিপির কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন জালাল ও তার সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের মধ্যে বহু রথি-মহারথিদের যোগসাজশে থাকলেও জালাল তালুকদার তাদের প্রধান চালিকা শক্তি বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক একজন কাউন্সিলর এর ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে জালাল পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে টাটকা রেশন, কুলি সরবরাহ, জ্বালানি সরবরাহ কাজের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে থাকে। সাবেক সেই কাউন্সিলর কাজ পেতে জালাল তালুকদারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা হস্তান্তর করে একাধিক ব্যক্তিকে।অভিযুক্ত জালালের দেয়া তথ্য মতে ঘুষের টাকা এসআই মোস্তফা ও তার পুত্র মর্তুজা তুষারকে ব্যাংকের মাধ্যমে ও নগদ হাতে দিয়েছিলেন। তবে ওই পিতাপুত্র তা আত্মসাৎ করেছেন।যদিও সে বিষয়ে বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সদস্য জালাল তালুকদারের দেয়া এক অভিযোগের তদন্ত করছে এসপি কার্যালয়। অথচ,ঘুষের টাকা আত্মসাৎকারী অভিযুক্তরা বলছে টাকা অনেকটাই জালাল তালুকদার নিজে আত্মসাৎ করে এখন সাবেক কাউন্সিলরকে বুঝ দিতে এসব করছে। এসব বিষয় ভিন্ন দিক মোর ঘুরিয়ে নিতে এসপি আবু নাছের খালেদ মাহমুদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে জালাল গ্রুপ।
বরিশালের পুলিশ সুপার বরাবর দেয়া জালাল তালুকদারের দেয়া অভিযোগে থেকে জানা যায়,অভিযোগ অনুযায়ী ‘
২০২১-২০২২ অর্থ সালের (০১ জুলাই ২০২১ হইতে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত) ১০ আমর্ড পুলিশ ব্যাটিলিয়ন, বরিশাল ফোর্সের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক কাজের নিযোগের নিমিত্তে ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হয়।দরপত্রের সূত্রঃ – এপিবি(১০) /প্রশাঃ -২০২১/১৭৮২ তারিখঃ- ২/৩/২০২১ ‘ এর বরাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিজলি কনস্ট্রাকশন এর স্বত্তাধীকারী বজলুর কাছ থেকে নেয়া ঘুষের ১০ লাখ,জালালের কাছ থেকে নেয়া ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার নামে উত্তোলন করা হয়েছে। পুরো টাকাটাই এপিবিএন ১০ এর অধিনায়ক ও অন্যান্য এপিবিএন এর অধিনায়কদের নাম করে তোলা হয়েছে।
ধুরন্ধর জালাল তালুকদার পুলিশের আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগে লিখেছেন ‘ বরিশাল এপিবিএন এর অধিনায়ক একজন আইন লঙ্ঘনকারী অফিসার। তিনি তার কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের জনগন ও সরকারের প্রত্যশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুর্নীতি করছেন। এই কার্যকলাপ থামাতে ‘ জুডিশিয়াল তদন্ত টিম ‘ গঠন করে তদন্তের দাবী করেন জালাল তালুকদার। তিনি আরও উল্লেখ করেন ‘ এই এসপি সাহেব ইতিপূর্বে বগুরা চাকুরীরত ছিলেন। সেখান থেকে বরিশালে যোগদানের পর থেকে মেসার্স সেলিম ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর সেলিমের সাথে ঘনিষ্ঠ হন। এবং একচেটিয়াভাবে বহু কাজ পাইয়ে দেন। ‘
Leave a Reply