বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করেন শিক্ষক বজলুর করিম।
স্টাফ রিপোর্টার ।। রাজধানীর নিকুঞ্জ ও খিলক্ষেত এলাকার একটি চক্র বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ১০ লাখ ৬২ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু কানাডায় পাঠাতে ব্যর্থ হলেও সেই টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে চক্রটি।
নামে এক মানবপাচারকারী ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। ভুক্তভোগীরা তাকে হন্য হয়ে খুঁজে পাচ্ছেন না। এছাড়া ওই মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের পাসপোর্ট আটক করে টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চক্রটির প্রধান খিলক্ষেত এর আব্দুল হাই ও রাজিয়া খাতুনের পুত্র বজলুর করিম।
এই বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মারুফ হোসেন মিয়াজি (৩০) নামে এক ভুক্তভোগী।
প্রতারক অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তরা খিলক্ষেত নিবাসী বজলুর করিম বারিধারার স্কলার্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। মারুফ হোসেন মিয়াজি ।
ভুক্তভোগী মারুফ হোসেন মিয়াজি অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় স্ট্যাম্প ও চেকের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন প্রতারক বজলুর।
লিখিতভাবে অভিযোগের পর উত্তরা পশ্চিম থানা কতৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারী বলেন, মৌখিক চুক্তির পর কথা ছিল টাকা ভিসা লাগানোর পরে দেয়া হবে। এ নিয়ে স্ট্যাম্প চুক্তি ও চেকও দিয়েছেন। কিন্তু বহুদিন হয়ে গেল। আমার পাসপোর্ট ও ভিসা কোনোটাই নেই। ফোন দিলে রিসিভ করে না। আমি তার বাড়ি কর্মস্থলসহ বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। তার আত্মীয়স্বজনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বজলুর করিম সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানা কতৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানান গণমাধ্যমকে।
Leave a Reply