নিজস্ব প্রতিবেদক::নৌ দুর্ঘটনা রোধে বরিশাল নদীবন্দরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানী ঢাকাগামী সব লঞ্চে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় লঞ্চের ইঞ্জিন ও যাত্রীদের নিরাপত্তাসামগ্রী যথাযথভাবে না রাখায় জরিমানা করা হয়েছে তিনটি লঞ্চকে। সতর্ক করা হয়েছে সাতটি লঞ্চকে।আজ বিকেলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় লঞ্চে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্ননির্বাপণ যন্ত্র, সঠিকভাবে বয়া না রাখা ও ইঞ্জিনরুমে যথাযথ নিরাপত্তাসামগ্রী না রাখার অপরাধে এমভি সুন্দরবন, পারাবাত ও কুয়াকাটা লঞ্চ থেকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করে ক্ষমা চায়। এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে গত বুধবার রাতে বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকাগামী লঞ্চে প্রথম অভিযান চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।বরিশাল ঢাকা নৌ রুটের অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চ থেকে অভিযান শুরু করেন কর্মকর্তারা। এরপর বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকাগামী বিলাসবহুল সব লঞ্চেই অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সতর্ক করা হয় লঞ্চমালিক, মাস্টার ও চালকদের।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সদর দপ্তরের নির্দেশে লঞ্চগুলোতে অভিযান চালানো হয়। লঞ্চগুলোর সার্ভে সনদ ও অন্যান্য সব সরঞ্জাম যথাযথভাবে রয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ছাড়া সব লঞ্চেই রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply