অনলাইন ডেস্কঃঃরাজধানীর গুলশান সুবাস্তু টাওয়ারে জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) নামের এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত এশা খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ স্মরণি সড়কের ১২৫ নম্বর স্বর্নকোমল বাসার মৃত এরশাদ আলী সিকদারের মেয়ে। বর্তমানে গুলশান শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ারের ৯ /সি/ ২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকত।
মৃত এশার মামাতো ভাই এসএম সাদিকুল আলম রুশো বলেন, ‘এশা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। বর্তমানে কিছুই করতো না। গুলশান শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ারে মা সানজিদা নাহারের সঙ্গে বাসাতেই থাকত। বাবা এরশাদ আলী সিকদার অনেক আগেই মারা গেছে। প্লাবন ঘোষ নামে এক ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের দুজনের ঝগড়া হয়।’
রুশো আরও বলেন, ‘রাতে মায়ের সঙ্গে খাবার খেয়ে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় এশা। ভোরে এশার মা তাঁকে অনেক ডাকাডাকি করে। কিন্তু দরজা খুলছিল না। সন্দেহ হলে এশার বান্ধবী খন্দকার সুমি আক্তার ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখতে পায় এশা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। এ সময় তাঁর দুই হাত ধারালো ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল। পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’স্বজনরা জানায় ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গায় নিয়ে দাফন করা হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানাকে জানানো হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, এশা মৃত এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শোভার মেয়ে বলে জানতে পেরেছি। তাঁর দুই হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এরশাদ সিকদার একজন কুখ্যাত অপরাধী ও সিরিয়াল কিলার ছিলেন। খুন, অত্যাচার, চুরি-ডাকাতি ও অন্যান্য নানা অপরাধের জন্য ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এম হাসান ইমাম এরশাদ সিকদারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। পরে ২০০৪ সালের ১০ মে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয় তাঁর।
Leave a Reply