ভেঙে গেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির সংসার। এদিকে এই বিচ্ছেদের সঙ্গে কেউ কেউ জড়াচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। এমনকি কিছু অনলাইন এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ করেছে। এবার কারো নাম উল্লেখ না করে এমন গুজব না ছড়াতে আহ্বান করলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। জানালেন প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এর আগে একই হুঁশিয়ারি দেন অপূর্ব।
সোমবার ভোরে নিজের ফেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে তানজিন তিশা লেখেন, ‘আমি সাধারণত গুজবে সাড়া দিই না। তবে আজ আমি অনুভব করছি যে, কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত চলমান গসিপ বন্ধ করা উচিত। দয়া করে আমার নামটি ব্যবহার করবেন না। এতে আমারসহ শিল্পী এবং তার পরিবারের চলমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি যে, কেউ আমার খ্যাতি কুখ্যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটি তৈরি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে এমন খবরে বিশ্বাস করবেন না, যার কোনো সত্যতা নেই। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যেন এই গুজবে আর ভাগ না বসিয়ে এবং ছড়িয়ে না দেন। কারণ, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়াও একটি সাইবার অপরাধ।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনুরোধ করছি আপনাকে এই ধরনের ভিত্তিহীন গল্পে আমার নাম উল্লেখ না করার। যারা এই কাজটি চালিয়ে যাবেন তাদের আমার শেষ থেকেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
এ দিকে রবিবার রাতে ফেইসবুক পোস্টে অপূর্ব লেখেন, ‘অত্যন্ত সম্মানের সাথে জানাচ্ছি আমি এবং আমার স্ত্রী অদিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্কের আইনগতভাবে ইতি টেনেছি। কোন সংবাদমাধ্যম এই ব্যাপারটাতে তৃতীয় কাউকে জড়িয়ে কোন ধরনের ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
এর আগে বিচ্ছেদের খবর প্রকাশের পরপরই অপূর্বর ব্যক্তিজীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করার আহ্বান জানান অদিতি। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ জিয়াউল ফারুক অপূর্ব একজন চমৎকার বাবা, প্রেমময় ভাই, দায়িত্বশীল পুত্র এবং একজন ভালো মানুষ ছিলেন। মিলিয়ন ভক্তের প্রিয় তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে নয়, দয়া করে তার অসাধারণ কাজগুলো দ্বারা তাকে বিচার করুন।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। গত জানুয়ারিতে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। দুজনের আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। অপূর্ব এর আগে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেন। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।
Leave a Reply