তারেক আহাম্মেদঃ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তিন চার গুন ভাড়া আদায়।করোনা মহামারিতে সব কিছু বন্ধ থাকলে শায়েস্থাবাদ থেকে রামকাঠি ট্রালাররে যাত্রী বহন করা বন্ধ হয়নি,অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে খেয়া পারাপার চালিয়ে যাচ্ছে ঘাট মালিক পক্ষ।বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন থেকে রামকাঠি পর্যন্ত ট্রলারে পারাপারে অতিরিক্ত তিনগুন ভাড়া আদায়ে করা হচ্ছে।ঘাট পরিচালনার দ্বায়িত্ব থাকা লোকজন সরকারি সিদ্বান্ত না মেনে কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত ভারা আদায় করে যাচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান যে শায়েস্থাবাদ রামকাঠি হয়ে মুলাদী ভাষানচর বরিশালে কয়েক হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়েত করে।রামকাঠি মুলাদি পানবাড়িয়া থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে বরিশাল যাতায়েত করে। কিন্তু
খেয়াঘাট পরিচালনা দায়িত্বে থাকা কালাম এর লোকজন করোনা কয়েক মাস ধরে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা করে আদায় করছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ৩০টাকা থেকে এখন ৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,শায়েস্থাবাদ রামকাঠী কোথাও তাদের মাশুল আদায়ের তালিকা টাঙানো নেই। কিন্তু নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করায় প্রতিদিন ঘাটের লোকজনের সঙ্গে যাত্রীদের কথা-কাটাকাটি হয়।হতে হেনেস্থার শিকার হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, খেয়া পারাপারের জন্য আগে জনপ্রতি ১০ টাকা এবং মোটরসাইকেল ৩০ টাকা করে আদায় করা হতো। কিন্তু এখন অভিনব কায়দায় যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।রাত ৮ টার পরে অচেনা যাত্রীদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০০টাকার বেশী ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
খেয়াঘাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোঃ কালাম হাওলাদার জানান যে করোনায় যাত্রী লোক থাকার কারনে ২০ টাকা নেওয়া কথা জানে কিন্ত ট্রলারের লোকজন ৩০ টাকার ব্যাপারে কিছু জানে না,এ ব্যাপারে ঘাট মালিকের সাথে কথা বলতে গেলে ট্রলারের লোকজন মিডীয়াকর্মীদের ঊপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে।
সাহেস্থাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না জানান এর আগেও আমার কাছে অভিযোগ আছে। আমি সত্যতা যাছাই করে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply