নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা মহামারীতে চলছে লকডাউনের ১১তম দিনে আজ রবিবার বরিশালের রাস্তাঘাটে আবারও বেড়েছে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল। প্রথম দিকে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে কড়াকড়ি থাকলেও এখন অনেকটা শিথিল। যদিও টহল অব্যাহত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।এদিকে প্রতিদিনধরে বরিশালে করোনা শনাক্তের হার বেড়েই চলছে। এ সময়ে বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭১৫ জনের। আর জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২২১ জন।
নগরের বেশিরভাগ দোকানগুলোতে এক সাটার খোলা রেখে বেচাকেনা করা করছে দেধারছে, তবে পুলিশ অথবা ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলেই সাটার নামিয়ে দিচ্ছেন মালিক ও কর্মচারীরা।কখনো সাটার বন্ধ করে ভিতরে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। নগরীর চারিপাশে সকালে থেকেি ছিল ভিড় সকালের নাস্তার জন্য।
নগরে ও মহাসড়কে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনের আধিপত্য দেখা গেছে। তাদের আছে নানান অজুহাত কৌশল অবলম্বন করে চেকপোস্ট অতিক্রম করে বীরদর্পে সড়কে যাত্রীবহন করছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলগুলো তাদের স্বাস্থবিদি ছিলনা মোটেই।
এছাড়া গত কয়েকদিনে ধরে নগরের সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ কাজের সন্ধানে, কেউ বাজার করতে ও কেউ ওষুধ কিনতে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হচ্ছেন।
‘লকডাউন’ কার্যকর করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মহাসড়ক ও নগরের বেশ কয়েকটি সড়ক ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড় গুলোতে সকালে পুলিশের কোনো চেকপোস্ট দেখা যায়নি। রাস্তায় বের হওয়ার কারণে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
এদিকে নিজে এবং অপরকে করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় লকডাউনকালীন সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আটজন। এ সময়ে বরিশাল জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২১ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দারা।
Leave a Reply