কোরবানীর পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে বরিশালের লালমোহনে। ঈদের আর মাত্র অল্প কয়েকদিন বাকী থাকতে বাজারে প্রচুর পশু উঠতে শুরু করেছে। কঠোর লকডাউনে ধর্মীয় নির্দেশনা মানতে মানুষ বাজারে পশু কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রশাসনও কিছুটা শিথিল ভূমিকায় আছে। তবে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে নিয়মিক মাইকিং করা হচ্ছে। সোমবার লালমোহন পৌর শহরের একমাত্র পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনা। উঠেছে পর্যাপ্ত গরু। সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকারও গরু বাজারে দেখা গেছে। আবার কম দামের গরুও আছে। তবে সব পশুর দাম কিছুটা হলেও কম আছে বলে জানান ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়লেও পশু কিনছে কম। কারণ হিসেবে তারা বলেন, মানুষ এখন শুধু দাম দেখছে। ঈদের চার পাঁচ দিন আগে থেকে কেনা শুরু করবে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করছেন ভোলার লালমোহনের খামারিরা। তবে চলমান লকডাউনের কারণে ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার প্রায় ২১৮টি ছোট-বড় খামারি। তারা দাবী করছেন, গত বছরও কোরবানিতে গরুর দামে ধস নেমেছিলো। এবার সঠিক দামের আশা থাকলেও করোনা আর লকডাউনের জন্য ন্যায্য দাম নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে খামারিদের মাঝে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান উল্লাহ মানিক জানান, লালমোহনে ছোট-বড় ও ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষুদ্র খামার রয়েছে ২১৮টি। এসব খামারে আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুতকৃত গরু রয়েছে ১০ হাজার ৯৯০টি, মহিষ ৪০১টি, ছাগল ৩ হাজার ৪২০টি ও ভেড়া রয়েছে ২০৫ টি। করোনা আর লকডাউনের কথা মাথায় রেখে সচেতন ক্রেতাদের জন্য ‘আমাদের অনলাইন পশুর হাট, লালমোহন, ভোলা’ নামে পশুর হাট আছে, সেখান থেকেও পশু বিক্রি হবে।
Leave a Reply