বরিশালে কানাডা নেওয়ার কথা বলে ১৫লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে প্রতারক সোহাগ হোসেন।সোহাগ হোসেন বরিশাল কাউনিয়া কমিশনার গলি বিসিক রোড ০১ ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিতা লতিফ সরদারের সন্তান। সোহাগ হোসেন তার শ্বশুর বাড়ি বসবাসরত মৃত সোরাব মূন্সীর জামাতা।শ্বশুরের প্ররিচিতি থাকার সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় ।তার গ্রামের বাড়ি মেহেন্দীগঞ্জের চানপুরা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে।
নাসির উদ্দিনের কাউনিয়া বিসিক এলাকায় নিজস্ব মুদি মনোহারি দোকান থাকার কারণে প্রতারক সোহাগ বাকি নেওয়া শুরু করে ।সোহাগ হোসেন দীর্ঘদিন যাবত সে মালেশিয়া বসবাস করে কিছুদিন এর জন্য দেশে আসে এবং নাসির উদ্দিনের এর সাথে দোকানে বাকি খাওয়ার সুবাদে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং প্রচার করতে থাকে যে তার কাছে একাটা মানের কাজের কানাডিয়ান ভিসা আছে।নাসির উদ্দিন তার মিথ্যা প্রচারনায় হাত বারালে তাকে কানাডায় নিয়ে ভালো মানের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেয়।
কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসার দাম বাবদ তার কাছ থেকে ২০লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে প্রতারক সোহাগ নানা কৌশল অবল্বন করে করে।যে তাকে প্রতিশ্রতি দেয় যে আগামী ছয় মাসের ভিতর কানাডা নিয়ে ভালো মানের কাজ দিবে।
নাসির উদ্দিন জানায় যে কিছুদিন পর সোহাগ আমার কাছ থেকে ১৫লাখ টাকা চায় গ্যারান্টি বাবদ সোহাগ আমাকে ৩০০টাকার স্টাম্পে লিখিত ও ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর একটি চেক প্রদান করে যাতে সোহাগের স্বাক্ষরিত ১৫ লক্ষ টাকা লেখা আছে যাহার চেক নাম্বার MCH 4810645। চেকটি ইস্যু তারিখ ০৩/০৫/২০২১।টাকা নেওয়ার পরে পাল্টে যায় সোহাগের আচরন।
প্রতারক সোহাগ দীর্ঘদিন যাবত নাসির উদ্দিনকে ঘুরাতে থাকে যে ভিসা আসছে বল।নাসির প্রতারক সোহাগকে কানাডায় নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে এক সময় সোহাগ কানাডায় নিতে পারবেনা বলে জানায়।
পরোক্ষনে নাসির কোন উপায় পেয়ে তার ইস্যু করা চেক ব্যাংকে জমা দেয়। সোহাগের ব্যাংক একাউন্টে কোন টাকা কারনে চেকটি ডিজনার হলে ১০/০৬/২০২১ তারিখে আইনজীবির মাধ্যমে সোহাগের নিকট একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়।তাতে সে কোন কর্নপাত না করিয়া উলটো তাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে যাতে করে সে যেন কোন মামলায় না দেয়।
নাসির উপায় না পেয়ে বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা করে যার নাম্বার সি,আর, মামলা নং৪৯/২১। মামলা ইস্যু হলে সোহাগের বরাবর নোটিশ করে কোর্ট। নোটিশ হাতে পাওয়ার পর সোহাগ আত্নগোপনে চলে যায় বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।সর্বত্র টাকা হারিয়ে নাসির উদ্দিন এখন নিস্ব প্রায়।
Leave a Reply