যৌতুক মামলায় হাজিরা শেষে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা যৌতুক মামলায় হাজিরা শেষে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন

যৌতুক মামলায় হাজিরা শেষে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬২৪ সময় দর্শন

যৌতুক মামলায় হাজিরা শেষে বাসায় ফেরার পথে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় স্ত্রী মারিয়া আক্তার জেমি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আদালত থেকে কিছুটা দুরত্বে মধ্য চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী পুলিশ সদস্য মনির হোসেন ও শ্বশুর নিজাম উদ্দিনকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী।

মারিয়া আক্তার জেমি জানান, ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বরগুনার সদর উপজেলার চরকগাছিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল মনির হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। চাকুরিতে পদোন্নতি পেতে ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন, এমন অজুহাতে মনির বিভিন্ন সময় স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করছিলেন। কিন্তু নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হিসেবে তিনি বাবার বাড়ি থেকে এ টাকা এনে স্বামীকে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঝেমধ্যেই স্ত্রীকে অনাহার/অর্ধাহারে রাখতেন মনির। একপর্যায়ে বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সুরাহা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে মনির আর যৌতুক দাবি করবেন না বলে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট (নং ২৪/২১, তারিখ -১০-০১-২০২১ ইং) করে হলফনামা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

কিন্তু যৌতুকের দাবিতে অনড় মনির গত ১০ জুলাই সকালে বরিশালের ভাড়া বাসা থেকে শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ১২ জুলাই মনিরকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে আপ্যায়ন শেষে শাশুড়ি তাছলিমা বেগম তাদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় টাকা না দিলে স্ত্রীকে ঘরে রাখতে পারবেন জানিয়ে মনির চলে যান।

এ ঘটনায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা শেষে বিকেলে বাসায় ফেরার পথে জেমিকে ডেকে নেন মনির। এসময় জেমির শ্বশুর নিজাম উদ্দিনও সেখানে ছিলেন। একপর্যায়ে আদালতের অদূরে গণপূর্ত কার্যালয়ের সামনে থেকে ইউসুফ আলী সড়ক দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ স্ত্রীর পরনের ওড়না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করেন মনির।

জেমির অভিযোগ, ঘটনার পর থানা পুলিশের নম্বর না থাকায় ৯৯৯ নম্বরে কল করেন জেমি। পরে থানায় গেলে মনির হোসেন পুলিশ সদস্য জানতে পেরে অভিযোগ নিতে অনিহা দেখানো হয়।

জেমি বলেন, আদালত বা পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেখানেই যাই বৈষম্যের স্বীকার হই। একজন অপরাধী যৌতুকলোভী পুলিশ সদস্যের প্রভাবে ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত আমি।

তবে মনির হোসেনের দাবি, আদালতে মিথ্যা যৌতুকের মামলায় হাজিরা শেষে ফেরার পথে আমার স্ত্রী লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।

এদিকে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, মামলায় হাজিরা শেষে ফেরার পথে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মনির হোসেন ও তার স্ত্রী দুজনেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ করেননি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানান ওসি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর