নিজস্ব প্রতিবেদক:: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবার বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তাঁর প্রতিকৃতি রাস্তায় ফেলে পদদলিত করার অভিযোগে পটুয়াখালী-২ আসনের সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী। এমপির সমর্থকেরা তাঁকে (বাদী) প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘সাংসদ পক্ষের লোকজন তাঁকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর ভাইয়ের ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে নালিশি মামলাটি করেন বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক।
ওই মামলার সাক্ষী করা হয়েছে ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বর্তমান সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেনসহ ১০ জনকে। আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন নালিশি মামলাটির আদেশের জন্য ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আ স ম ফিরোজ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার খবর বরিশালে পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুর ছবি মাটিতে ফেলে পদদলিত করেন পটুয়াখালী–২ (বাউফল) আসনের সাংসদ আ স ম ফিরোজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এগুলো যাঁরা করেন, তাঁরা বাউফলবাসীকে অসম্মান করছেন।’
মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় সাংসদ আ স ম ফিরোজের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি। কথা বলার জন্য খুদে বার্তা দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply